খেলাপি ঋণে আদায়ে চীনা চমক প্রায় দেড় যুগ ধরে আলোচিত। একবিংশ শতকের শুরুতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে বড় বড় ব্যাংকের ধসের অভিজ্ঞতা থেকে চীন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মন্দ ঋণ বা খেলাপি ঋণের কবল থেকে ব্যাংকগুলোকে রক্ষার জন্য সমন্বিত বিস্তৃত ঋণ আদায় ব্যবস্থা প্রণয়ন ও প্রয়োগ শুরু করে দেশটি। এই কৌশলে উদ্যোক্তাদের সহযোগিতার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। আবার ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ে কালোতালিকাভ‚ক্ত করার মত কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ফলে ২০০৮ সালের পর চীনের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের হার কখনোই দুই শতাংশের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি। আমেরিকা ও এশিয়ার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০০৭ সালে চীনের ব্যাংকগুলোর খেলাপির হার দাঁড়িয়েছিল ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
চীনের ঋণ আদায় প্রক্রিয়া শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক রুপ লাভ করেছে। ব্যাংকের বাইরে ‘এনপিএল (খেলাপি) ব্যবস্থাপনা বাজার’ গড়ে উঠেছে। ওই বাজারে চীনা সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান জড়িত। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থমন্ত্রণালয়, জাতীয় আর্থিক নিয়ন্ত্রক প্রশাসনের সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে কার্যকরী ঋণ আদায় কাঠামো। স্থানীয় আদালত ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাও ঋণ আদায়ের অন্যতম সহযোগী। এসব মিলে ঋণ আদায়ে বিস্তৃত অবকাঠামো গড়ে তোলা, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং সমাধান উপায় ও উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) কর্তৃক প্রকাশিত ‘নন পারফর্মি লোন ওয়াচ ইন এশিয়া ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনে ঋণ আদায় ব্যবস্থাকে সর্বোত্তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও চীনের ঋণ আদায়ের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত কঠোর নীতির সমালোচনা করে থাকে পশ্চিমা অর্থনীতিবিদ ও মানবাধিকার কর্মীরা। এডিবি’র ওই প্রতিবেদনে ২০২৪ সালে চীনের খেলাপি ঋণ দেখানো হয়েছে ১ দশমিক ৪০ শতাংশ। আগের বছর এই হার ছিল ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ওই প্রতিবেদনের তথ্য মতে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে খেলাপি ঋণের হার সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ এশিয়ার 'সবচেয়ে দুর্বল ব্যাংকিং ব্যবস্থার' দেশ। ২০২৪ সাল শেষে খেলাপি ঋণের হার দাঁড়ায় ২০ দশমিক ২০ শতাংশ। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২০ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সাল থেকে প্রতিবছরই বাংলাদেশের খেলাপি ঋণের হার বেড়েছে। ২০২১ সালে এই হার ছিল ৮ শতাংশ, ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৯ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের মতো ২০২১ সাল থেকে খেলাপি ঋণ বেড়েছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার। বাকি দেশগুলোর খেলাপিঋণ কমেছে। ভারতের খেলাপি ঋণের হার ২০২০ সালে ছিল ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, যা ২০২৪ সালে কমে হয়েছে ২ দশমিক ৫ শতাংশ। পাকিস্তানের খেলাপি ঋণ ৯ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমে ২০২৪ সালে হয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
বিশ্বের শীর্ষ ব্যাংকের কাতারে নাম লেখাতে পেরেছে চীনা ব্যাংকগুলো। ফোর্বস ইন্ডিয়ার তথ্যমতে, ২০২৪ সালে মূলধন বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ ব্যাংকের মধ্যে চীনা ব্যাংকের সংখ্যা ৪টি। চীনের অনুসৃত নীতিমালা অনুসরণ করে বাংলাদেশের রুগ্ন ও ভগ্নপ্রায় ব্যাংকিংখাত সবল করা সম্ভব। অর্থনীতি তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে খেলাপিদের দৌরাত্ম্য কমাতে ঋণ আদায়ে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। সংস্কারের এই সময়ে ঋণ আদায় নীতির কার্যকর সংস্কার অতিদ্রুত হবে- এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
তবে ২০২৪ সাল ভিত্তিক ওই প্রতিবেদনের তুলনায় বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্যমতে, চলতি ২০২৫ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৭ হাজার কোটি টাকা। যা বিতরণ করা মোট ঋণের ৩৩ শতাংশ।
বিভিন্ন উদ্যোগে বিনিয়োগ করা ব্যাংকের কাজ। শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য ও ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঋণ বিতরণ করতে চীনে বিশাল ব্যাংকিংখাত গড়ে উঠেছে। কিন্তু খেলাপি ঋণ আদায়ে দায়িত্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষের নয়। এজন্য চীনে গড়ে উঠেছে সুবিস্তৃত সুশৃঙ্খল একটি প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো। ঋণ আদায় ব্যবস্থাপনার জন্য দেশটিতে ৫ জাতীয় এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, ৫৯টি আঞ্চলিক এসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এবং প্রদেশভিত্তিক আরও ৫টি এসেট ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি কাজ করছে। এসব কোম্পানিতে সরকারি, বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগ রয়েছে। ব্যাংকের খেলাপি ঋণ মূলত এসব কোম্পানি অধিগ্রহণ করে। তবে কিছু কিছু বড় ব্যাংক নিজেরাই তাদের খেলাপি গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। স্বল্প মূলধনের ব্যাংকগুলোর অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি কাছে খেলাপি ঋণ বিক্রি করে তাদের ব্যালান্সশিট ঠিক রাখেন। ২০২৪ সালে চীনের ব্যাংকিংখাত থেকে ২১৪ বিলিয়ন চাইনিজ ইউয়ান খেলাপি ঋণ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলোর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশটিতে হস্তান্তরিত পুঞ্জিভ‚ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩.৫০ ট্রিলিয়ন চাইনিজ ইউয়ান।
আবার কিছু ক্ষেত্রে এসব কোম্পানি ঋণগ্রহীতাকে সংকট উত্তরণের জন্য মূলধন সহায়তা করে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ দিয়ে থাকে। প্রয়োজন বিবেচনা করে কোন কোন গ্রাহকের ঋণ পুনঃতফসিল বা পুনর্গঠন করে দেওয়া হয়। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন করে ঘুরে দাঁড়িয়ে উৎপাদনে যাওয়ার সুযোগ পায়। বাস্তবিক কারণে খেলাপি হলে যেমন মূলধন সহায়তা পাওয়া যায় অন্যদিকে ইচ্ছাকৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর নীতি অবলম্বন করা হয়। ঋণ পরিশোধ নিশ্চিত করতে আদালতের আদেশ অনুযায়ী খেলাপিদের কালো তালিকাভ‚ক্ত করে চীনা কর্তৃপক্ষ। কালোতালিকাভ‚ক্ত ঋণ খেলাপিরা টোল প্রদান করতে হয় এমন রাস্তা ব্যবহার করতে পারেন না, বিমান, দ্রুত গতির ট্রেন, বিলাস বহুল হোটেল ব্যবহার করতে পারেন না।
এছাড়া সন্তানদের বেসরকারি স্কুলের পড়ানোর সুযোগ পান না। তারা ডিজিটাল পেমেন্ট অ্যাপ্লিকেশনও ব্যবহার করতে পারেন না। চীনে খাবার দোকানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির দোকানগুলোতে নগদ অর্থের ব্যবহার প্রায় বন্ধ। সেখানে আলি পে ও উইচ্যাট-এর মতো ইলেকট্রনিক পেমেন্ট প্ল্যাটফর্মগুলো সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়। ফলে ঋণ খেলাপিরা খাবারসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়েও সমস্যায় পড়েন। এমনকি ঋণ খেলাপিরা কিছু ব্যবসার লাইসেন্সও নিতে পারেন না এবং সরকারি কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে পারে না। ঋণ খেলাপিদের মোবাইলে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধুবান্ধব কল দিলে ‘ওয়েলকাম টিউন’ হিসেবে ঋণ পরিশোধের বার্তা শোনানো হয় কোন কোন প্রদেশে।
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে সেখানকার খেলাপিঋণ বাস্তবিক কারণে বেড়ে যায়। এরপরও ঋণখেলাপিরা লাগামহীনভাবে ছাড় পাননি। আদালতের গিয়ে সমস্যার জন্য হাজির হতে হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মত চীনের ব্যাংকগুলোকে ঋণ খেলাপিদের খুঁজে বেড়াতে হয়নি এবং ঋণ খেলাপিরা পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আদায় ব্যবস্থার কঠোরতার কারণে কালো তালিকাভ‚ক্তরা নিজেরাই ব্যাংক এবং আদালতে হাজির হয়েছেন স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য সহায়তা দাবি করেছেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত ফাইন্যানশিয়াল টাইমস ও ভয়েস অব আমেরিকার দুটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৮৫ লাখ ৪০ হাজার নাগরিকদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে দেশটিতে ২০২০ সালে ৫৭ লাখ নাগরিকদেরকে ঋণখেলাপির কারণে তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল।
তবে বাংলাদেশে ঋণ খেলাপিদের চিত্র ভিন্ন। এখানে ব্যাংকগুলো ঋণ খেলাপিদের পিছনে দৌড়াতে দৌড়াতে হাঁপিয়ে উঠে। ঋণ খেলাপিরা কালো তালিকাভ‚ক্তির পরিবর্তে লাল তালিকাভুক্ত হন। লাল টেলিফোন, লাল পাসপোর্ট, মন্ত্রিপাড়ায় লাল ইটের আবাসস্থল, গাড়িতে লাল-সবুজের পতাকা উড়ানোর সুযোগ পান। এখানকার ঋণ খেলাপিরা ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করে এমপি, মন্ত্রী, ব্যবসায়িক এবং রাজনৈতিক নেতা বনে যান। যেহেতু ঋণ আদায়ের দায়িত্ব শুধু ব্যাংকের ঘাড়ে। তাই খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য ব্যাংকগুলোকেই এককভাবে দায়ী করা হয়ে থাকে। ঋণ আদায়ের কিছু আইনি সহায়তা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননা। উল্টো নানা ধরনের আদেশ, স্থগিতাদেশ প্রদান করে ঋণ খেলাপিদের এমপি-মন্ত্রী-উপদেষ্টা হওয়ার সুযোগ করে দেন আদালতও। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৮ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতে একটি রায়কে ঘিরে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আশির দশকে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালি ব্যাংক থেকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আসম ফিরোজের মালিকানাধীন মেসার্স পটুয়াখালী জুট মিলস লিমিটেড যে ঋণ নিয়েছিল সুদে-আসলে সে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ওই টাকা ফেরত না দেওয়া পর্যন্ত তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন হাইকোর্ট বিভাগ। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন এবং তার ঋণ ৯ম বারের মত পুনঃতফসিল করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী একজন গ্রাহকের ঋণ ৩ বারের বেশি পুনঃতফসিল করা যায় না। আইনি দুর্বলতার কারণে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অর্থঋণ আদালতে আদায়সংক্রান্ত ২ লাখ ৫৩ হাজার ৯১টি মামলা বছরের পর বছর বিচারাধীন রয়েছেন। ওই মামলাগুলোতে ব্যাংকগুলোর ৩ লাখ ৪৩ হাজার ২৪২ কোটি টাকা আটকে রয়েছে। (‘অর্থঋণ আদালতে আটকে আছে ৩.৫৫ লাখ কোটি টাকা/ দুই দশকে আদায় ২৬ হাজার কোটি টাকা’ তারিখ ২৩, জুলাই ২০২৫; দৈনিক কালের কণ্ঠ)
আরবি প্রবাদ আছে - জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রয়োজনে সুদূর চীন দেশে যাও। আমাদের জন্য চীন দেশ সুদূর নয়। ব্যবসায়িক অন্যতম বড় অংশীদার। চীনের পণ্যে বাংলাদেশের বাজার সয়লাব। চীনা পণ্যের মত চীনা ঋণ আদায় প্রক্রিয়া অনুসরণের সুযোগ আমাদের রয়েছে। ঋণ আদায়সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালার কারণে চীনা ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হতে পারছে। কার্যকর বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্পের উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে একদিকে বিশ্ববাজার দখল করতে পেরেছে।
অন্যদিকে বিশ্বের শীর্ষ ব্যাংকের কাতারে নাম লেখাতে পেরেছে চীনা ব্যাংকগুলো। ফোর্বস ইন্ডিয়ার তথ্যমতে, ২০২৪ সালে মূলধন বিবেচনায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ ব্যাংকের মধ্যে চীনা ব্যাংকের সংখ্যা ৪টি। চীনের অনুসৃত নীতিমালা অনুসরণ করে বাংলাদেশের রুগ্ন ও ভগ্নপ্রায় ব্যাংকিংখাত সবল করা সম্ভব। অর্থনীতি তথা দেশের টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে খেলাপিদের দৌরাত্ম্য কমাতে ঋণ আদায়ে শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা জরুরি। সংস্কারের এই সময়ে ঋণ আদায় নীতির কার্যকর সংস্কার অতিদ্রুত হবে- এটিই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক : কলামিস্ট ও বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিকেশন বিভাগ, এনআরবিসি ব্যাংক।
[email protected]
এইচআর/এএসএম

3 hours ago
3









English (US) ·