চীনের আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা চুক্তি করছে ফিলিপাইন-কানাডা

1 day ago 4

দক্ষিণ চীন সাগরে ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী চীনা পদক্ষেপ মোকাবিলায় প্রতিরক্ষা চুক্তিতে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা এবং ফিলিপাইন। রবিবার (২ নভেম্বর) এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে দুই দেশের সামরিক বাহিনী যৌথ মহড়া পরিচালনা করতে পারবে। ফলে দক্ষিণ চীন সাগরে নিরাপত্তা সক্ষমতা আরও বাড়ানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা।

রবিবার (২ নভেম্বর) ফিলিপাইনের প্রতিরক্ষা সচিব গিলবার্তো টিওডোরো জুনিয়র কানাডার প্রতিরক্ষা সচিব ডেভিড ম্যাকগুইন্টির সঙ্গে রাজধানী ম্যানিলায় মিলিত হবেন। স্ট্যাটাস অব ভিজিটিং ফোর্সেস অ্যাগ্রিমেন্ট (ভিএফএ)-নামে এ চুক্তি স্বাক্ষরের পর পর্যালোচনা শেষে তা কার্যকর হবে। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় চীনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে কানাডা তাদের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করলে ফিলিপাইনের সেনাবাহিনীকে চীনের সামরিক সক্ষমতার বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালী করবে। এছাড়াও চুক্তির এই পদক্ষেপগুলো ফিলিপাইনের উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। তিনি চীন ‘অশান্তি সৃষ্টিকারী’ ও ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ক্ষতি সাধনকারী’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ম্যানিলায় থাকা কানাডার রাষ্ট্রদূত ডেভিড হার্টম্যান জানিয়েছেন, আমরা দক্ষিণ চীন সাগর ও পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে চীনের প্ররোচিত ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছি এবং তা অব্যাহত রাখব।

এ ধরনের চুক্তির মাধ্যমে বিদেশি সেনাদের অস্থায়ী ভ্রমণ ও বড় পরিসরের যুদ্ধ মহড়া পরিচালনার জন্য আইনি কাঠামো ও বৈধতা প্রদান করা হয়। ১৯৯৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ফিলিপাইন। পরে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ২০০৭ সালে এ ধরনের চুক্তি হয়েছিল। কানাডার সঙ্গে এই চুক্তি মার্কোস সরকারের অধীনে তৃতীয় প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। এর আগে এ বিষয়ে জাপান ও নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে। এছাড়াও ফ্রান্স,সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ভারতের সঙ্গেও অনুরূপ চুক্তি বিষয়ে আলোচনা চলছে।

দীর্ঘদিন ধরে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে চীন ফিলাপাইনের পাশাপাশি ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই ও তাইওয়ান আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে আছে।

গত বছর কানাডা ও ফিলিপাইনের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ওটোয়াতে স্বাক্ষরিত ‘ডার্ক ভেসেল ডিটেকশন সিস্টেম’ চুক্তির মাধ্যমে ফিলিপাইনকে কানাডার তথ্য ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছিল যা স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধ জাহাজ শনাক্ত করতে সক্ষম। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এরই মধ্যে ফিলিপাইনের কোস্ট গার্ড দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা কোস্ট গার্ড ও মৎস্যজীবী জাহাজের গতিবিধি নজরদারি করছে।

কেএম
সূত্র : অ্যাসোসিয়েট প্রেস

Read Entire Article