দিনাজপুরের বিরামপুরে চুরির টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম সাজু (৩৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর কাটলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দাউদপুর জোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাজেদুল ইসলাম ওই গ্রামের মৃত অছির উদ্দিনের ছেলে।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রায়হান কবির (২২) একই গ্রামের মোজাম্মেল হক ওরফে মোজার ছেলে এবং নুরুন্নবী ইসলাম (২৩) প্রতিবেশী বেলাল হোসেনের ছেলে। রায়হান কবির ও নুরুন্নবী ইসলাম সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে নিহত সাজেদুল ইসলামের বাড়িতে যাতায়াত করতেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাজেদুলের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়। টাকা চুরির বিষয়টি অভিযুক্ত রায়হানকে বললে সে অস্বীকার করে ও ক্ষিপ্ত হয়ে তার চাচাতো ভাই নুরন্নবীকে নিয়ে লাঠি দিয়ে সাজেদুলকে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। একপর্যায়ে সাজেদুল মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন সাজেদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে সাজেদুলে মা ছায়েদা বেগম বলেন, আমার ছেলে ফলের ব্যবসা করতো। গতকাল ছেলের ঘর থেকে ৬ হাজার টাকা চুরি হয়। প্রতিবেশী রায়হান কবিরকে টাকা চুরির বিষয়টি অবগত করলে সে চুরি করেনি বলে অস্বীকার করেন। এতে সাজেদুল ও রায়হানের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রায়হান তার চাচাতো ভাই নুরুন্নবীকে ডেকে আমাদের বাড়িতে আসে। তারা দুজন মিলে সাজেদুলকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার দিনাজপুর নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফুলবাড়ি এলাকায় সাজেদুলের মৃত্যু হয়।
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, টাকা চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাজেদুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন। হত্যার ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মো. মাহাবুর রহমান/এমএন/এমএস