চুল ঘন করার জন্য সরিষার তেলের সঙ্গে কী ব্যবহার করবেন
রান্নার কাজে সরিষার তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অনেকে সরিষার তেল ব্যবহার করেন। চুলের যত্নে বর্তমানে আমন্ড অয়েল, রোজমেরি অয়েল এবং বিভিন্ন হেয়ার সিরাম বেশি ব্যবহার করলেও এক সময় নারিকেল তেল ও সরিষার তেলই চুলের প্রধান ভরসা ছিল। ইদানীং চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে দেখা যায় না। তবে চুলের জন্য সরিষার তেলের ভূমিকা কম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরিষার তেলে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, কে, ই- যা চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল পড়া রোধ করে। এছাড়া জিংক, বিটা-ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। তবে সরিষার তেলের সঙ্গে কিছু উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়- ১. কারিপাতারান্নায় যেমন কারিপাতা অনেকেই ব্যবহার করেন। তবে এই কারিপাতা সরিষার তেলে ফুটিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এটি অকালপক্বতা রোধে সাহায্য করে এবং হেয়ার থিনিং বা চুল পাতলা হওয়ার সমস্যায় কার্যকর। কারিপাতার তেল চুলকে ঝলমলে করে। ২. জবাফুলজবাফুলের পাপড়ি এবং পাতায় থাকা কেরাটিন চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। যদি এটিকে সরিষার ত
রান্নার কাজে সরিষার তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। শীতকালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অনেকে সরিষার তেল ব্যবহার করেন। চুলের যত্নে বর্তমানে আমন্ড অয়েল, রোজমেরি অয়েল এবং বিভিন্ন হেয়ার সিরাম বেশি ব্যবহার করলেও এক সময় নারিকেল তেল ও সরিষার তেলই চুলের প্রধান ভরসা ছিল। ইদানীং চুলে সরিষার তেল ব্যবহার করতে দেখা যায় না।
তবে চুলের জন্য সরিষার তেলের ভূমিকা কম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরিষার তেলে আছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, কে, ই- যা চুলের গোড়া মজবুত করে ও চুল পড়া রোধ করে। এছাড়া জিংক, বিটা-ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
তবে সরিষার তেলের সঙ্গে কিছু উপাদান মিশিয়ে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়-
১. কারিপাতা
রান্নায় যেমন কারিপাতা অনেকেই ব্যবহার করেন। তবে এই কারিপাতা সরিষার তেলে ফুটিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুলের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। এটি অকালপক্বতা রোধে সাহায্য করে এবং হেয়ার থিনিং বা চুল পাতলা হওয়ার সমস্যায় কার্যকর। কারিপাতার তেল চুলকে ঝলমলে করে।
২. জবাফুল
জবাফুলের পাপড়ি এবং পাতায় থাকা কেরাটিন চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। যদি এটিকে সরিষার তেলের সঙ্গে মিশ্রিত করা হয়, তাহলে এটি একটি শক্তিশালী লাল রঙের মিশ্রণে পরিণত হয়, যা চুলে ব্যবহার করলে দেখতে সুন্দর লাগে। এছাড়া, সরিষার তেলে জবাফুল ফুটিয়ে ব্যবহারে অকালপক্ব চুল রোধ করা যায়, চুল পড়া কমানো যায় এবং খুশকি প্রতিরোধ করা যায় সহজেই।
৩. কালোজিরা
সরিষার তেলের সঙ্গে কালোজিরা ফুটিয়ে চুলে ব্যবহার করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়। কালোজিরায় থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া, এটি স্ট্রেস ও হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। সরিষার তেলে কালোজিরা ব্যবহার করলে অকালে চুল পেকে যাওয়া ঠেকানোও সম্ভব, তাই এটি চুলের জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী।
৪. পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে থাকা সালফার স্ক্যাল্পে অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই এটি সরাসরি স্ক্যাল্পে ব্যবহার না করাই ভালো। তবে যদি পেঁয়াজের রস সরিষার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সাধারণত কোনো সমস্যা হয় না। এছাড়া, সরিষার তেলের সঙ্গে মিশালে পেঁয়াজের ঝাঁঝালো গন্ধও অনেক ফিকে হয়ে যায়।
৫. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা মাথার ত্বককে ঠান্ডা ও শীতল রাখে। সরিষার তেলের সঙ্গে তাজা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফুটিয়ে ব্যবহার করলে, এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এর ব্যবহারে মাথার ত্বকের চুলকানি, জ্বালাপোড়া ও প্রদাহও কমে যায়।
৬. মেথি
চুলের যত্নে মেথির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে। মেথি চুল পড়া কমাতে, খুশকি দূর করতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। স্পর্শকাতর স্ক্যাল্পের জন্যও এটি উপকারী। অনেকেই মেথি বেটে সরাসরি মাথায় মাখেন, তবে সরিষার তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে ব্যবহারে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
সূত্র: বি বিউটিফুল, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুন
সিরাম স্ক্যাল্প ও চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন
চুল পড়া বন্ধ হবে রসুন ব্যবহারে
এসএকেওয়াই/জেআইএম
What's Your Reaction?