চুল পড়া আর খুশকির সমস্যা বাড়াচ্ছেন নিজের ৬ অভ্যাসে

শীত এলেই খুশকি, মাথা চুলকানো আর চুল পড়ার সমস্যা যেন আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না নিজেদের কিছু ছোট্ট ভুলই মাথার ত্বক দুর্বল করে দেয়। নিয়মিত চুল না ধোওয়া, বারবার স্টাইলিং করা বা ড্রাই শ্যাম্পুর ওপর বেশি ভরসা, এসব মিলেই স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে খুশকি বাড়ায়।  সুখবর হলো, মাত্র কয়েকটি অভ্যাস বদলালেই এই ঝামেলা অনেকটা কমানো যায়। চুল না ধোওয়া : কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই কয়েক দিন পরপর চুল ধোন। এতে মাথায় তেল, ঘাম আর মৃত কোষ জমে ছত্রাক তৈরি হয়, যা খুশকির মূল কারণ। তেলতেলে স্ক্যাল্প হলে একদিন পরপর শ্যাম্পু করা ভালো, আর শুষ্ক স্ক্যাল্পে একটু বিরতি রেখে চুল ধুলেই চলে। ড্রাই শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার : ড্রাই শ্যাম্পু জরুরি সময়ে কাজে লাগে, কিন্তু বেশি ব্যবহার করলে ত্বক শুকিয়ে যায়। এর পাউডার ও তেল জমে চুলকানি বাড়ায়। তাই প্রয়োজনেই ব্যবহার করুন, নিয়মিত চুল ধোওয়াই ভালো। খুব টাইট হেয়ারস্টাইল : চুল টাইট করে বাঁধলে টান লাগে, রক্ত চলাচল কমে যায়। এতে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে চুলের গোড়া দুর্বল হয়। তাই সবসময় টাইট স্টাইল না করে মাঝে মাঝে চুল খোলা রাখুন। নরম কাপড়ের স্ক্রাঞ্চি ব্যবহার করলে টান কম পড়ে। হিট স্টাইলিং

চুল পড়া আর খুশকির সমস্যা বাড়াচ্ছেন নিজের ৬ অভ্যাসে

শীত এলেই খুশকি, মাথা চুলকানো আর চুল পড়ার সমস্যা যেন আরও বেড়ে যায়। অনেক সময় আমরা বুঝতেই পারি না নিজেদের কিছু ছোট্ট ভুলই মাথার ত্বক দুর্বল করে দেয়। নিয়মিত চুল না ধোওয়া, বারবার স্টাইলিং করা বা ড্রাই শ্যাম্পুর ওপর বেশি ভরসা, এসব মিলেই স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে খুশকি বাড়ায়। 

সুখবর হলো, মাত্র কয়েকটি অভ্যাস বদলালেই এই ঝামেলা অনেকটা কমানো যায়।

চুল না ধোওয়া : কাজের ব্যস্ততায় অনেকেই কয়েক দিন পরপর চুল ধোন। এতে মাথায় তেল, ঘাম আর মৃত কোষ জমে ছত্রাক তৈরি হয়, যা খুশকির মূল কারণ। তেলতেলে স্ক্যাল্প হলে একদিন পরপর শ্যাম্পু করা ভালো, আর শুষ্ক স্ক্যাল্পে একটু বিরতি রেখে চুল ধুলেই চলে।

ড্রাই শ্যাম্পু বেশি ব্যবহার : ড্রাই শ্যাম্পু জরুরি সময়ে কাজে লাগে, কিন্তু বেশি ব্যবহার করলে ত্বক শুকিয়ে যায়। এর পাউডার ও তেল জমে চুলকানি বাড়ায়। তাই প্রয়োজনেই ব্যবহার করুন, নিয়মিত চুল ধোওয়াই ভালো।

খুব টাইট হেয়ারস্টাইল : চুল টাইট করে বাঁধলে টান লাগে, রক্ত চলাচল কমে যায়। এতে স্ক্যাল্প শুষ্ক হয়ে চুলের গোড়া দুর্বল হয়। তাই সবসময় টাইট স্টাইল না করে মাঝে মাঝে চুল খোলা রাখুন। নরম কাপড়ের স্ক্রাঞ্চি ব্যবহার করলে টান কম পড়ে।

হিট স্টাইলিংয়ের অতিরিক্ত ব্যবহার : হেয়ার ড্রায়ার, স্ট্রেটনার বা কার্লিং আয়রন বারবার ব্যবহার করলে স্ক্যাল্পের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়। মাথার ত্বক শক্ত ও শুষ্ক হয়ে খুশকি আরও বাড়ে। খুব দরকার হলে হিট প্রোটেকশন ব্যবহার করুন এবং সম্ভব হলে চুল প্রাকৃতিকভাবে শুকাতে দিন।

বেশি সুগন্ধযুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার : ফ্র্যাগরেন্স বা অ্যালকোহলযুক্ত প্রোডাক্ট স্ক্যাল্পে অ্যালার্জি ও জ্বালা ধরাতে পারে। তাই চেষ্টা করুন ‘NAFE SAFE’ (No Alcohol, Fragrance, Essential oil) পণ্য ব্যবহার করতে।

জীবনযাত্রার প্রভাব : অস্বাস্থ্যকর খাবার, ঘুমের অভাব আর স্ট্রেস - এই তিনেই স্ক্যাল্পের তেলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যথেষ্ট পানি পান, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আর মানসিক চাপ কমানো স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখে।

সূত্র : এই সময় অনলাইন

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow