সার পাচারের সময়ে মোবাইল কোর্টে ৫০ বস্তা সার জব্দ

সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় সার পাচারের সময় সার জব্দ করেছে প্রশাসন। আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের তেলিগ্রাম সড়কের মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৫০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। জানাগেছে, সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা–২০২৫ অনুযায়ী ডিলারদের জন্য বরাদ্দকৃত সার যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অন্যত্র পরিবহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ফুলবাড়িয়া উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত ডিএপি সার গোপনে পাশের উপজেলা মুক্তাগাছায় পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হচ্ছিল। এসময় দুই ভ্যান গাড়িতে বহন করা ৫০ বস্তা সরকারি ডিএপি সার আটক করা হয়। সারগুলো কার কাছে সরবরাহের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছিল এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক যাচাই বাছাই করে। উপজেলা কৃষি অফিসার নূর মোহাম্মদ জানান, সরকার নিয়োগকৃত ডিলারদের ভর্তুকি দিয়ে দিয়েছেন যাতে কৃষক সহজেই সার ক্রয় করতে পারেন। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় দেয়ার জন্য, এটাা মূলত অসাধু ব্যবসায়ীরা সার কিনে নিয়ে মজুদ করে সারের সংকট সৃষ্টি করতে

সার পাচারের সময়ে মোবাইল কোর্টে ৫০ বস্তা সার জব্দ

সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির লক্ষ্যে অসাধু ব্যবসায়ীরা ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলা থেকে পার্শ্ববর্তী উপজেলায় সার পাচারের সময় সার জব্দ করেছে প্রশাসন।

আজ সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বালিয়ান ইউনিয়নের তেলিগ্রাম সড়কের মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৫০ বস্তা সার জব্দ করা হয়।

জানাগেছে, সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা–২০২৫ অনুযায়ী ডিলারদের জন্য বরাদ্দকৃত সার যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া অন্যত্র পরিবহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অথচ নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ফুলবাড়িয়া উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত ডিএপি সার গোপনে পাশের উপজেলা মুক্তাগাছায় পাচারের উদ্দেশ্যে পরিবহন করা হচ্ছিল। এসময় দুই ভ্যান গাড়িতে বহন করা ৫০ বস্তা সরকারি ডিএপি সার আটক করা হয়।

সারগুলো কার কাছে সরবরাহের উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছিল এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক যাচাই বাছাই করে।

উপজেলা কৃষি অফিসার নূর মোহাম্মদ জানান, সরকার নিয়োগকৃত ডিলারদের ভর্তুকি দিয়ে দিয়েছেন যাতে কৃষক সহজেই সার ক্রয় করতে পারেন। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় দেয়ার জন্য, এটাা মূলত অসাধু ব্যবসায়ীরা সার কিনে নিয়ে মজুদ করে সারের সংকট সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের অবৈধ কার্যক্রমের কারণে সরকার নির্ধারিত সারের সুষ্ঠু বিতরণ ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন।

পরবর্তীতে মোবাইল কোর্টের ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ তাকী তাজওয়ার আটককৃত সার যথাযথ নিয়ম মেনে সরকারি কোষাগারে জমা প্রদানের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বিক্রয়ের নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় পাচার কাজে ব্যবহৃত দুই ভ্যানচালককে দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ তাকী তাজওয়ার জানান, সরকারি সার পাচার প্রতিরোধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। কৃষি উৎপাদন ও সুষম সার বিতরণ নিশ্চিত করতে প্রশাসন আরও কঠোর নজরদারি চালাবে বলেও জানানো হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow