চুয়াডাঙ্গায় পাট কাটা শুরু, ফলন কমেও দামে আশার আলো

2 weeks ago 8

চলতি মৌসুমে চুয়াডাঙ্গার কৃষকেরা মাঠে নেমেছেন পাট কাটার কাজে। তবে অতিবৃষ্টির কারণে কাঙ্ক্ষিত ফলন না পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। যদিও বাজারে পাটের দাম বেশি থাকায় আশার আলো দেখছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ৮ হাজার ৯৯৫ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২৩৫ হেক্টর বেশি। তবে কাটার আগমুহূর্তে টানা বৃষ্টিতে পাট হেলে পড়ায় ফলন কিছুটা কম হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রতি বিঘায় উৎপাদন খরচ দাঁড়ায় ১৫-২০ হাজার টাকা। সাধারণত বিঘায় ৮-১২ মণ পাট পাওয়া যায়। বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ পাট বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৪ হাজার টাকা, যা গত বছরের তুলনায় ৫০০ টাকা বেশি। এ ছাড়া পাটকাঠির দামও বেড়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় পাট কাটা শুরু, ফলন কমেও দামে আশার আলো

চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী, দামুড়হুদার রাইসার বিল, পদ্ম বিল, দলকালক্ষ্মীপুরের বিল, আলমডাঙ্গার তাসসারের বিল, জীবননগরের ভৈরব নদসহ বিভিন্ন খাল-বিলের পাশে এখন পাট শুকাচ্ছেন চাষিরা। এ ছাড়া রাস্তার দু’পাশে বাঁশের আড়ায় ঝুলছে পাটকাঠি। কোথাও আটি বেঁধে শুকাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকেরা। পর্যাপ্ত বৃষ্টির কারণে ডোবা-পুকুর ও খাল-বিলে জাগ দেওয়া পাটের রং ভালো হওয়ার পাশাপাশি পাটকাঠির মানও উন্নত হয়েছে।

আরও পড়ুন

বেলগাছি গ্রামের কৃষক হাসমত আলী বলেন, ‘পাটের দাম ভালো হলেও ফলন কম হওয়ায় খরচ পোষাতে কষ্ট হচ্ছে। কৃষি উপকরণের দামও বেশি হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে।’

চুয়াডাঙ্গায় পাট কাটা শুরু, ফলন কমেও দামে আশার আলো

আসাদুল হক নামের আরেক চাষি বলেন, ‘এক বিঘায় প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু ফলন আগের মতো হচ্ছে না। দাম বেশি হলেও লোকসান কাটানো কঠিন।’

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার আবাদ বেশি হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় অর্ধেক পাট কাটা শেষ হয়েছে। জাগ দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পানি আছে। দাম ভালো থাকায় কৃষকেরা লাভবান হবেন। পাট চাষ বাড়াতে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

হুসাইন মালিক/এসইউ/এমএস

Read Entire Article