চুয়াডাঙ্গায় ভৈরব নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধি, আতঙ্কে মানুষ

18 hours ago 3

চুয়াডাঙ্গায় ভৈরব নদীতে হঠাৎ স্রোতে নদীর তীরবর্তী এলাকায় একটি সেতুর অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিম্নাঞ্চলের বিস্তীর্ণ ফসলি জমি তলিয়ে যাচ্ছে। জেলার জীবননগর উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদীতে হঠাৎ করে পানি বেড়ে তীব্র স্রোত শুরু হয়।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকে পানির উচ্চতা অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে নদীর প্রবল স্রোতে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের জোল মাঠ নামক স্থানে নদীর ওপরে তৈরি একটি ব্রিজের আংশিক অংশবিশেষ ভেঙে পড়ে। এ সময় স্রোতে কৃষকদের দেওয়া জাগ পাটও ভেসে যেতে দেখা গেছে ও নদীর পাড় সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের জমির ফসলও কিছুটা প্লাবিত হয়েছে। তবে পানির উচ্চতা কত সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও এখনো জানা যায়নি।

সোমবার বিকেলে জীবননগর উপজেলার সন্তোষপুর ও মনোহরপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভৈরব নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যায়। এ সময় নদীর তীব্র স্রোত দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমাই নদীর তীরে। অনেকেই স্রোতের মধ্যে মাছও ধরেছেন। তখন পানির উচ্চতা বৃদ্ধি ও প্রবল স্রোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নদীর পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে। অনেকে তাৎক্ষণিক নিরাপদ আশ্রয়েও যান। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক।

মনোহরপুর গ্রামের এ আর ডাবলু নামের এক বাসিন্দা বলেন, এ বছর অনেক বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ভৈরব নদীতে এমন স্রোত দেখিনি। সোমবার বিকাল থেকে হঠাৎ পানি বাড়তে শুরু করেছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কৃষকদের ফসলের বড় ক্ষতি হবে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সন্তোসপুর গ্রামের সজীব হোসেন জানান, দুপুরেও নদীর পানি স্বাভাবিক ছিল। বিকেল থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বেড়ে তীব্র স্রোত বইছে।

স্থানীয়দের ধারণা, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে অথবা কোনো বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলেই হঠাৎ করে ভৈরব নদীতে পানির স্রোত বেড়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরও জমির ফসল তলিয়ে যাবে ও নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হবে।

এ বিষয়ে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনো আগাম আনুষ্ঠানিক কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তবে এলাকাবাসীকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গ্রামবাসী ও জনপ্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার ফোন দিয়েও চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদকে পাওয়া যায়নি।

হুসাইন মালিক/এমআরএম

Read Entire Article