চেয়ারের মুখোমুখি: আত্মঘাতী বিমূর্ত উদযাপন

4 hours ago 4

সাজিদ উল হক আবির

জাহিদ সোহাগের কবিতার সঙ্গে আমার পরিচয় বেশিদিনের নয়। বছর তিনেকের বা একটু বেশি। কবি হিসেবে তিনি আমার যত ঘনিষ্ঠ, ব্যক্তি হিসেবেও ঠিক ততটুকুই আপন সাহিত্যাঙ্গনের সহমর্মী ও সহযাত্রী হিসেবে। তিনি এ দেশের সাহিত্যাঙ্গনের আমার সেই বিরলতম সহযাত্রী, যার সঙ্গে দেখা হলেই নতুন লেখা কবিতা বের করে আমাকে পড়তে দেন, মন্তব্য করতে বলেন। যাপিত জীবনে কোনো আড়াল কখনো তিনি রাখেননি আমার সঙ্গে, তাই ব্যক্তি জাহিদ সোহাগকে উহ্য রেখে তার কবিতাপাঠ প্রায় অসম্ভব আমার জন্য। তবুও সাহিত্যের সঙ্গে ফরমাল সম্পর্ক আমার আজ কম করে হলেও পনেরো বছর। এই দীর্ঘসময় ধরে পড়তে পড়তে, লিখতে লিখতে, জ্ঞাতে অজ্ঞাতে সমালোচনা করতে করতে একটা রুচি দাঁড়িয়ে গেছে মোটের ওপর। তার ওপর ভিত্তি করেই তার সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ–‘চেয়ারের মুখোমুখি’র ওপর একটা আলোচনা দাঁড় করাবার চেষ্টা করছি।

‘চেয়ারের মুখোমুখি’ জাহিদ সোহাগের ১২তম কাব্যগ্রন্থ। এতে সব মিলিয়ে ৫৬টি কবিতা আছে। আমি বইটির পাণ্ডুলিপি পড়েছিলাম, যাতে কবিতার সংখ্যা ছিল আরও ৮টি বেশি। সর্বশেষ সম্পাদনায় তা বাদ দেওয়া হয়েছে। পাণ্ডুলিপিটি প্রকাশনা সংস্থা ‘শব্দগুচ্ছ প্রেস’ কর্তৃক আয়োজিত একটি প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়ে প্রকাশিত হয়।

জাহিদ সোহাগের সঙ্গে আমার পরিচয় এই কাব্যগ্রন্থ দিয়ে নয়। উল্লিখিত কাব্যগ্রন্থের আনুপুঙ্খিক পাঠ পর্যালোচনায় প্রবেশ করার আগে, সামগ্রিক পঠন থেকে তার কবিতার বিষয়ে কিছু বলি:
জাহিদ সোহাগের কবিতা বিমূর্ততা প্রধান। তার সে বিমূর্ততা আমার কাছে আত্মঘাতী মনে হয়, কেননা শব্দ ও শব্দগুচ্ছের অর্থ তিনি যেসব প্রতীকের আড়ালে অবগুণ্ঠিত করে রাখেন, তারা খুবই ব্যক্তিগত। ফলে বেশিরভাগ সময়ই তাদের অর্থ উদ্ঘাটন করা আমপাঠকদের পক্ষে সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে আমি নিজেকে একজন আমপাঠক হিসেবেই বিবেচনা করছি। জাহিদ সোহাগের বিমূর্ততাকে আমি আত্মঘাতী বিমূর্ততা বলতে চাই, যেহেতু তার কবিতার শিরোনাম, শিরোনামের অধীনে জমা করা শব্দগুচ্ছ এবং সবমিলিয়ে তাদের মর্ম প্রায়ই একটা ত্রিমুখী সংঘাতের অবস্থানে চলে যায়, আর তাতে খুন হয় কবিতার অর্থ। তবুও তার এই বিমূর্ততার প্রয়াসে একটি সৌন্দর্য আছে। এ যেন দুধসাদা বরফের ওপর জমে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত। অর্থহীন জলরাশির সামনে দাঁড়িয়ে থেকে জীবনের অর্থহীনতাকে উপলব্ধি করা এবং শেষমেশ পায়ে পায়ে এগিয়ে গিয়ে সেই সমুদ্রের জলে আত্মাহুতি দেওয়া।

জাহিদ সোহাগের কাব্যগ্রন্থ ‘চেয়ারের মুখোমুখি’র প্রথম এবং প্রধান বৈশিষ্ট্য আত্মপরিচয়ের নির্মাণ। আত্মগ্লানি, আত্মঅপচয়, এবং হতাশা এই কাব্যগ্রন্থে বারবার ফিরে ফিরে আসে।
যেমন, ‘মার্কারি’ কবিতায় তার স্বমূল্যায়ন–
‘আয়নার পারদ উঠে গেছে, ও এখন কেবল কাচ; সকালে গোসলভেজা শরীর,/ অফিসে যাবার আগে শশব্যস্ত, নগ্ন, পরে নিচ্ছে জামাকাপড়…’ অতঃপর সাধারণ একটি দিনের অন্যান্য আনুষঙ্গিক সম্পর্কের দায়মোচনের ফিরিস্তি।
অথবা, কবিতা ‘দাহ্য’তে তিনি বলছেন–
‘কেবল জ্বলছি, বিবিধ দাহ্যে, তলানি তবুও থাকে চায়ের কাপে, বা অতি/ উৎসাহীদের পোড়া শেষে;
আমার কিছু নেই;’
অথবা, তা ‘এখানে যে শুয়ে আছে’তে তার ভাষ্য–
‘নিজেকে পোড়াতে গিয়ে অর্ধদগ্ধ…

কবিতা তার প্রার্থনা ও প্রবঞ্চনা;…

পাগলাগারদকে সে স্ত্রী বলে জানে, সন্তানকে ভুলতে দিয়েছে নিজের মুখ;…’
‘হরিৎ’ কবিতার শেষ পঙক্তিতে পাঠককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন–
‘হরিৎ এখন লিখতে বসবে, ওর স্ত্রী টিকটকের বৃত্তাকার আলোয় নাচছে, তুমি ওকে/ ব্যর্থ হতে দেখে কাঁদো, তবে বেশিক্ষণ কেঁদো না;’
‘পাতাবাহার’ কবিতায় আক্ষেপ করে বলেন–‘হতেও পারতাম পাতাবাহার, ছিটিয়ে দেয়া তুচ্ছ রঙের ছোপ ছোপ…’। কিন্তু জীবন তাকে সেই তুচ্ছতার অনুমোদনও দেয়নি। তিনি বলেন–‘নিজের মুণ্ডু কেটে সারারাত্রি তারাদের তৃষ্ণায় ঢেলেছি জল;…’
‘গাঢ় এক দরজা’– কবিতায় আফসোস করে বলেন–‘যেখানেই রাখি ঠোঁট, জ্যান্ত হয়ে ওঠে ভিখিরির পুরোনো ঘা; নিজেকে হত্যা না করে সহ্য করে বাঁচি;’
এভাবেই কবির ক্ষয় ও ক্ষয়রোগ। একবিংশ শতাব্দীর উল্কাপিণ্ডর চলনে যে মানুষটি ঘাসের ডগায় জমা শিশির বিন্দুর ওপর সূর্যের প্রথম কিরণচ্ছটা উপভোগ করতে চায়, তার জায়গা কই?

এত ক্ষয়, অপচয়, আর স্বপ্নভঙ্গের সয়ে যাওয়া বেদনার স্তূপ ঠেলে তার এ কাব্যগ্রন্থে মাথা তুলে দাঁড়ায় প্রেমের দুটি নতুন কুড়ি। তাতে গজায় পাতা, পাতা থেকে ফুল, ফুল থেকে ফল।
‘স্যান্ধ্য-স্নান’ কবিতায় কী সুন্দর করে তিনি আঁকেন প্রেয়সীকে লুকিয়ে দেখার সুখ–
‘তোমাদের বাইরে পুরোনো ইটের স্তূপ, ভেতরে ডালিমরঙ্গা শান্তি; অনেক দুপুর/ আমি সিঁড়িতে স্থিতধী দুর্গাকে দেখে ছাদে বসে রয়েছি ভোকাট্টা ঘুড়ির ছুতায়;’
প্রেমে পড়ার অনুভূতিকে প্রতীকের ছলে দারুণ করে তিনি ব্যক্ত করেন ‘বেমানান রঙের সুতো’ কবিতায়। বলেন–‘ভুলে, বেমানান রঙের একটি সুতোয় সেলাই করেছি তার হৃদয়।’
কখনো এই ক্ষয়ে যাওয়া মানুষটিকেও ঘাই দিয়ে যায় পুরোনো প্রেমের হারানো সুর। কোথাকার কোন ল্যাম্পপোস্ট পেরুলে, হাওয়ার বেলোয়ারি ঠেলে দাঁড়িয়ে থাকা শাড়ি, তার মাঝে জ্বলজ্বল করতে থাকে যেন কার মুখ। ঠোঁট চায় ঠোঁটের স্পর্শ, কিন্তু সর্বোচ্চ জোগাড় করতে পারে সিগারেটের উষ্ণতা। হৃদয়ে কবির সাধ হয়–‘যদি হতে মাছ, কানকায় পরিয়ে নিতাম রশি…
…বুকে পুরোনো প্রেমের দাহ, জাপটে ধরে চুরমার/ করে দিতো বিচ্ছেদের কয়েক কিলোমিটার দুঃখ;’ [চাকা]
সব ক্ষয় পেরিয়ে প্রেমই তো এখনো কবির কবিতা লেখার প্রেরণা–
‘কখনো মনে হয়, লিখি, নানা দরজায় কড়া নেড়ে নেড়ে হয়ত তোমার টেবিলে/ পৌঁছেও যেতে পারে; অনেক কাজের ফাঁকে ওই চিঠিগুলো, দুপুরবেলা, রোদ ছেনে ছেনে রাঙিয়ে দেবে তোমার নিভন্ত গ্রীবা…’ (খনন)
যৌনতা হাজির হয় প্রকৃতির অনুষঙ্গ হয়ে বা প্রতীকের কাঁধে চেপে।
‘এবার আষাঢ়ে’ কবিতায় যেমনটা বলেন তিনি–
‘শুনি কদম ফুটেছে বনে বনে, আর বেলি-চাঁপারা কয় বোন নাভি নিম্নে শাড়ির কুচি/ ধরে মেলেছে পেখম;
আর ময়ূরবাইক হর্ন বাজিয়ে চলে গেল অরণ্যে;’
অথবা ‘মর্সিয়া থেকে’ কবিতায়–
‘কোন ঘুঘু ডেকে ডেকে যদি অবশ করে তোলে আমাদের, তুমি তোমার দুটি/ ইরেজার ঘসে আমাকে জাগিয়ে তোলো মর্সিয়া থেকে;’
‘চাবি’ কবিতায় কামনা আবির্ভূত হয় আরও সরাসরি-
‘যেন খটখটে দুপুরে পেয়েছো হিম চোষ্য–লেহ্য কিছু, কিন্তু এ নয় কাঠি দেয়া/ বরফ; মুহূর্তেই শিরা ছাপিয়ে ছোটে বিদ্যুৎ; তোমার জিভ এক পিশাচ, নারকী/ তৃষ্ণায় তুমি তছনছ করো শান্ত রক্তরাশি;
বিছিয়ে ঝরাপাতায় শরীর ও সঙ্গিন, তুমি এভাবেই খোলো চাবি সকল তালার;
আর আমি সামলে রাখি তোমার ডালিম বন;’
আবার ‘ট্র্যাক্টর’ কবিতায় হঠাৎ করেই আমরা আবিষ্কার করি, শুয়ে আছেন তার সঙ্গীর পাশে, বিছানায়, কিন্তু স্বপ্নে সংগম করছেন এক ট্রাক্টরের সঙ্গে–‘গত রাতে আমি, স্ত্রীর পাশে শুয়ে, স্বপ্নে, সংগম করেছি ট্রাক্টরকে;’ যা অনেকাংশেই নির্দেশ করে দাম্পত্যের শীতলতা।
অথবা, ‘কাঠ’ কবিতায় কতটা অভিমানের সুরেই বলেন–
‘কাঠ ভেবে, তোমাকে খোদাই করেছি সারারাত; এখন যাও, মেলে ধরো বুক/ পাখিদের দিকে, বা অন্য কোথাও;’
তার কিছু কিছু পঙক্তি এমনিই দারুণ সুন্দর। তেমন ব্যাখ্যার দাবিও করে না তারা। যেমন–
“আমি চিৎকার করে বলতে পারি, ‘থামো থামো’, কিন্তু যখন ব্রহ্মাণ্ড ফাটছে
তখন/ মিঠে দুপুরের চৌকাঠে আধশোয়া বিড়ালের বুকের ঘড়ঘড় কে শোনে!” (নছিমন)
অথবা বিচ্ছেদের বিপরীতে প্রেমের বর্ণনায়–
‘নদীর রেখায় এসে আমি আর তুমি দাঁড়িয়েছি; পা ভেজাব না ভেজাব না করে/ প্রেমই এসে আমাদের ভিজিয়ে গেলো;’ (পদ্মাপারে)

আরও পড়ুন
দেশে বিদেশে: মানুষ যেখানে মানচিত্রের চেয়ে বড়
সুদিন ফিরে আসছে: যে যাত্রা পাঠকের

জাহিদ সোহাগের শব্দচয়ন স্বাভাবিক, সহজ-সরল। হঠাৎ নতুন শব্দগুচ্ছ তৈরির কেরদানি দেখাতে আগ্রহ নেই। আরোপিত কাব্যিকতার প্রয়াস নেই। তার নামকরণে প্রায়ই বস্তুবাচক শব্দাবলি এসে হাজির হয়। যেমন–দেয়াল, কাগজ, চাকা, বিস্কুট, চাবি, রেফ্রিজারেটর, ট্র্যাক্টর, মার্কারি, নছিমন ইত্যাদি। কবিতায় প্রতীকধর্মীতাও একটি বিশেষ গুণ। তার কবিতায় আমরা দেখি– খুঁটে বাঁধা নৌকাগুলো ‘বাছুরের মতো’ লাফালাফি করে ঢেউয়ের ওপর। প্রেমিকার স্তন, জীবনানন্দ ও সুনীলের কবিতায় শঙ্খ রূপে হাজির হয়, জাহিদ সোহাগ তাদের অলংকৃত করেন ‘ডালিম বন’–এর অভিধায়।

তবুও তার প্রতীকগুলো অনেকাংশেই ব্যক্তিগত বলে পাঠকের মনে দ্যোতনা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়। যেমন–‘উড়ন্ত মাছ’ কবিতায় হঠাৎ করেই তিনি শুরু করেন এভাবে–‘তুমি কি উড়ন্ত মাছ? আমাদের জোছনায় ভেতর ঢুকে পড়েছ?…’ তারপর সারা কবিতাজুড়ে এই উড়ন্ত মাছের রূপক-অর্থ উদ্ধারের বৃথা প্রয়াসে আমাদের গলদ্ঘর্ম হতে হয়। অথবা, ‘ঘোটকী’ কবিতায়–‘…তরবারির দ্যুতিই কেবল বানাতে পারে একেকটি মায়াহরিণ…’
কবিতাজুড়ে ভাঙা, অপূর্ণ বাক্য আমাদের কাজকে আরও দুরূহ করে তোলে।

ইতিবাচক আর নেতিবাচক আইডিয়াকে পাশাপাশি উপস্থাপন করার প্রবণতা, ইংরেজিতে যাকে আমরা বলি অক্সিমোরনিক অভিপ্রায়, তারও কালে-ভদ্রে দেখা মেলে জাহিদের কবিতায়, যখন তিনি বলেন–
‘…রক্তের ভেতর গুঁড়ো গুঁড়ো সূর্য শেয়ালের পালের/ চেয়েও দীর্ঘ হতে শুরু করেছে।’ (অন্ধ)

তার কবিতায় রাজনীতির দেখাও মেলে। চিত্রকর যামিনী রায়ের মতো রাজনৈতিক শীতলতা কবির ক্যানভাসে আমরা দেখি না, বিশেষ করে তার ‘প্রলম্বিত জুলাই’ কবিতায় যেখানে পুলিশ স্টেশন মাছের পাখনায় এসে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে আলো, ‘নক্ষত্রের জল চুয়ে পড়ে ইউনিফর্মে, আর ব্রাশে পেস্ট লাগানোর পর রাষ্ট্রপ্রধানকে পেয়ে বসে দারুণ আলস্য। তবুও জয়ী হয়, তার রাজনৈতিক তাতেও, প্রকৃতিই, কেননা তার সর্বশেষ পঙক্তিতে লেখেন–‘যখন সবাই উন্মাদ, উন্মত্ত, আমাদের বারান্দায় পাঁজর ফাটিয়ে ফুল দিয়েছে সবগুলো গাছ;’
উল্লেখ্য, কোনো এক বিচিত্র কারণে তার সমস্ত কবিতা শেষ করেন সেমিকোলন চিহ্নে (;)।

শেষমেষ এই বলি, জাহিদ সোহাগের এই কাব্যগ্রন্থের সরলপাঠ সম্ভব নয়। ক্লান্ত একটি দিনের শেষে এই কাব্যগ্রন্থ পাঠককে কোনো স্বস্তি দেয় না। তার দুর্ভেদ্য প্রতীকাশ্রয়ী কবিতা প্রায়শই অস্বস্তিকর। বিদ্যুতায়িত করে দেওয়ার মতো একটা সহজ-সরল দৃশ্যের খোঁজে আমাদের পুরো পাণ্ডুলিপি ঢুঁড়ে মরতে হয়। এর বাইরে আর যা থাকে, তাই কবির অর্জন। তার নিজেকে প্রকাশের এই দুরূহতার ভবিতব্য তার অজানা, এমনটা ভাবা মুশকিল। জেনে শুনেই তিনি বেছে নিয়েছেন কঠিন এই পথ, পাঠকপ্রিয়তা, সহজ অনুমেয়তাকে অগ্রাহ্য করে। তার এই বিমূর্ততার আচ্ছাদনকে তাই আত্মঘাতীই মনে হয়। জাহিদ সোহাগের এই কাব্যগ্রন্থের সম্মুখে দাঁড়িয়ে মনে হয়, যেন শুভ্র সুন্দর সাদা তুষারের ওপর ছোপ ছোপ রক্তের দাগ দেখছি। ভয়াল, কিন্তু সুন্দর।

বইয়ের নাম: চেয়ারের মুখোমুখি
কবির নাম: জাহিদ সোহাগ
প্রকাশক: শব্দগুচ্ছ প্রেস
পরিবেশক: নালন্দা
প্রচ্ছদ: আল নোমান
মূল্য: ২০০ টাকা।

এসইউ/জেআইএম

Read Entire Article