রাজধানীর পল্লবী থানাধীন বহুল আলোচিত শাকিলকে পিটিয়ে হত্যা মামলা রহস্য উন্মোচন করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন এন্ড অপারেশন ইউনিট (অর্গানাইজড ক্রাইম- উত্তর), পিবিআই।
মামলার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সোমনাথ বিশ্বাসকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি গোপালগঞ্জের ঠাকুরদাস বিশ্বাসের ছেলে। গতকাল বুধবার বিকেলে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১৫নং সেকশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পিবিআই জানায়, গত ১৪/১০/২০২৩ খ্রিঃ মাগরিবের আজানের পর পল্লবী থানাধীন স্বপ্ন নগর প্রজেক্ট-২, বিল্ডিং- ১৯ এর নিচ তলায় ভিকটিম-মো. শাকিল (২৫) ও তার বন্ধু মো. ফিরোজকে (২০) উল্লিখিত বিল্ডিংয়ের নিচে চোর সন্দেহে আটকে রেখে আসামি সোমনাথ বিশ্বাসসহ অন্যান্য আসামিগণ ভিকটিম ও তার বন্ধুকে পিছনের দিকে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে এলোপাতাড়িভাবে বেধড়ক কিল-ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়া পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে আসামিগণ স্থান ত্যাগ করে। ভিকটিমের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে গত ১৫/১০/২০২৩ তারিখে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ সংক্রান্তে নিহতের ভাই মো. ইয়াসিন(১৯) বাদী হয়ে পল্লবী (ডিএমপি) থানায় অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ জন আসামির বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলার নং ৩৪(১০)২৩, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড।
পিবিআই আরও জানায়, মামলাটি পল্লবী থানা পুলিশের নিকট তদন্তাধীন থাকাবস্থায় মামলাটির তদন্তভার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এর মাধ্যমে পিবিআই এসআইএন্ডও (অর্গানাইজড ক্রাইম- উত্তর) কল্যানপুর, ঢাকা এর নিকট তদন্তের জন্য প্রেরণ করে। মো. মোস্তফা কামাল, অ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই হেডকোয়াটার্স এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় জনাব মোঃ আবদুর রহমান, বিশেষ পুলিশ সুপার, এস আইএন্ডও এর তত্ত্বাবধানে পিবিআই এসআইএন্ডও (অর্গানাইজড ক্রাইম- উত্তর) কল্যানপুর, ঢাকা এর ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, থোয়াইঅংপ্রু মারমা, বিপিএম-সেবা এর সার্বিক সহযোগিতায় মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মো. নুরুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করেন।
আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, পল্লবী থানাধীন স্বপ্ন নগর প্রজেক্ট-২, বিল্ডিং- ১৯ এর নিচ তলায় ভিকটিম-মো. শাকিল (২৫) ও তার বন্ধু মো. ফিরোজকে (২০ উল্লিখিত বিল্ডিংয়ের নিচে চোর সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোমনাথ বিশ্বাসসহ অন্যান্য আসামিগণ ভিকটিম ও তার বন্ধুকে পিছনের দিকে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে এলোপাতাড়িভাবে বেধড়ক কিল-ঘুষি, লাথি ও লাঠি দিয়া পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম মো. শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন।
আসামিকে বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে আসামি সোমনাথ বিশ্বাস বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ ছাড়াও ঘটনায় প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী একজন বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বাক্ষীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।