ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমানের ‘বাম সংগঠনে শিবির ঢুকে গেছে’ এমন বক্তব্য প্রত্যাহার করে দুঃখ প্রকাশ করতে প্রতিবাদলিপি দিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি যৌথ সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানান তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ ধরনের অভিযোগ কেবল বামপন্থি ছাত্র আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেনি বরং নানা মহলে অযাচিত প্রশ্ন ও বিভ্রান্তি তৈরি করছে। কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উল্লেখ না করে ঢালাওভাবে ‘বাম’ শব্দটি ব্যবহার করে সব বাম সংগঠনগুলোকে অভিযুক্ত করা মানহানিকর ও উদ্দেশ্যমূলক।
বাম ছাত্রসংগঠনগুলো দাবি করে, গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের অধীনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্রিয় ছয়টি সংগঠন সবসময় ফ্যাসিবাদ, স্বৈরতন্ত্র ও দমননীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে ও সাধারণ শিক্ষার্থীর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আগে ও পরে তারা কখনো জামায়াত-শিবির কিংবা অন্য কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তির সঙ্গে আপস করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমান উল্লাহ আমান যদি কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ নাম-পরিচয় উল্লেখ করতে না পারেন, তবে গণহারে ‘বাম সংগঠনে শিবির ঢুকে গেছে’ বলা অসত্য, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে বিভ্রান্তিকর। এ ধরনের মন্তব্য ফ্যাসিবাদী শক্তিকে পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে বলে তারা মনে করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবিলম্বে এই বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে হবে। অন্যথায় এ বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
এর আগে (৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টায় একটি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি জায়গা যেখানে বামদের মধ্যেও শিবিরদের দেখা যায়।
মনির হোসেন মাহিন/এমএন/এএসএম