ছাত্রদল নেতা ইমরান মিথুনের মানবিক উদ্যোগ
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর ইমরান হোসেন মিথুনের মানবিক উদ্যোগে রাজধানীর মিরপুরে অর্ধ-শতাধিক পরিবারের বাড়ির ছাদ ঝুঁকিমুক্ত হয়েছে। এতে করে স্বস্তি ফিরে এসেছে পরিবারগুলোর মাঝে। নিজ অর্থায়নে সম্প্রতি এমন মানবিক ও মহৎ উদ্যোগ নেন মিথুন।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে রাজধানীর মিরপুর পল্লবীর মেডিকেল ক্যাম্প এলাকার অর্ধশত পরিবার তাদের বাড়ির ছাদ নিয়ে বেশ সংকটের মধ্যে ছিল। ছাদগুলোতে জন্মানো শেওলা থেকে বড় গাছের উৎপত্তি এবং সেই গাছগুলোর শেকড় বিস্তার ছাদগুলোকে জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল। এর ফলে এই সাধারণ পরিবারগুলো সব সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছিলেন।
বিষয়টি জানতে পেরে পরিবারগুলোর কষ্ট ও ঝুঁকি লাঘবে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন ছাত্রদল নেতা মীর ইমরান হোসেন মিথুন। নিজ অর্থায়নে এই ঝোঁপঝাড় ও গাছপালা পরিষ্কার করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি, যা পরিবারগুলোর জন্য অনেকটাই সংকটমুক্ত পরিবেশ তৈরি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেডিকেল ক্যাম্প এলাকার এই বাড়িগুলোর ছাদ মূলত টিনশেড বা দুর্বল কাঠামোর ওপর নির্মিত। গত ১০ বছরে ছাদগুলোতে জমে থাকা শেওলা থেকে বিভিন্ন ছোট-বড় গাছের জন্ম হয়। সময়ের সাথে সাথে এই গাছগুলো বিশাল ঝোঁপঝাড়ে রূপান্তরিত হয় এবং তাদের শেকড় ছাদের কাঠামোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। সামান্য বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগেও ছাদধসে পড়ার আশঙ্কায় পরিবারগুলো সারাক্ষণ আতঙ্কে থাকতো। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে অভিভাবকরা চরম উদ্বেগে দিন কাটাতেন।
এলাকার এক প্রবীণ বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর বা অন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হয়েছি, কিন্তু কোনো সমাধান পাইনি। আমাদের এই দুর্দিনে মীর ইমরান হোসেন মিথুন ভাই পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, যা আমাদের কাছে অনেক বড় পাওয়া। তার এই উদ্যোগে আমরা এখন অনেকটাই স্বস্তিতে আছি।’
উদ্যোগ প্রসঙ্গে মীর ইমরান হোসেন মিথুন কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এই এলাকারই সন্তান এবং এই এলাকার প্রতিটি মানুষই আমার আপনজন। আমি যখন এই এলাকার মানুষের দুর্দশার কথা জানতে পারি, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করা পরিবারগুলোর জন্য কিছু করা আমার মানবিক দায়িত্ব বলে মনে করেছি। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন, নিজ অর্থায়নে এই ঝোঁপঝাড়গুলো পরিষ্কার করার কাজটি সম্পন্ন করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করি, এতে পরিবারগুলো এখন নিরাপদে বসবাস করতে পারবে। ভবিষ্যতেও সাধ্য অনুযায়ী মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এই ছাত্রদল নেতা।