বাসাপ্রতি ১০০ টাকার বেশি বর্জ্য চার্জ নেওয়া যাবে না : ডিএসসিসির প্রশাসক

2 hours ago 3
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেছেন, বর্জ্য ঠিকাদাররা একেক বাসা থেকে ১০০ টাকার বেশি বর্জ্য নেয়ার চার্জ বা বিল নিতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাকে (বাসস) দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, নাগরিকদের সেবা দিতে সিটি করপোরেশন সর্বদা নিয়োজিত আছে। যেকোনো সেবার বিপরীতে কোনো অসদুপায় অবলম্বন করলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের নিজস্ব আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ডিএসসিসি আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডে প্রাথমিক বর্জ্য সংগ্রহ সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে নতুন করে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে অচিরেই নতুন ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। ডিএসসিসি প্রশাসক বলেন, বর্তমানে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানগুলোর মেয়াদ আগামী দুমাসের মধ্যে শেষ হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গতি ও মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন, অত্যন্ত মানবিক কারণে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত আগের ঠিকাদার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে কারো বিরুদ্ধে বেশি চার্জ নেওয়ার অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে একই নিয়মে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চার্জ নিতে হবে। এ বিষয়ে বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। শাহজাহান মিয়া বলেন, গত ঈদুল আজহায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩১৭টি পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানি শেষ করার পর নাগরিক পর্যায় থেকে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করে প্রতিটি ওয়ার্ডের সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে স্থানান্তর করা হয়। পরে ডাম ট্রাকের মাধ্যমে মাতুয়াইল স্যানেটারি ল্যান্ডফিলে চূড়ান্তভাবে ডাম্প করা হয়। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশনের কর্মীদের কঠোর মনোবল ও আন্তরিকতার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এ সাফল্য ধরে রাখা হবে। এর মধ্যে কোনো বর্জ্য ঠিকাদারের কারণে যেন সিটি করপোরেশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। ডিএসসিসির এ প্রশাসক বলেন, সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ড মশক নিধনের জন্য ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কোথাও যদি নিয়মিতভাবে ওষুধ ছিটানো না হয় সেটা করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখায় জানাবেন। শাহজাহান মিয়া বলেন, সিটি করপোরেশনে বসে আমাদের পক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসা বাড়ির খোঁজ-খবর নেওয়া সম্ভব না। তবে কেউ যদি অভিযোগ করেন তবে তাৎক্ষণিকভাবে সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : বাসস
Read Entire Article