ছাত্রলীগের পদে থাকা ফরহাদকে নিয়ে যা বললেন শিবির সেক্রেটারি

5 hours ago 4

ছাত্রলীগের পদে থাকা ফরহাদ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফরহাদ এক নয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেসরকারি একটি টেলিভিশনের একটি টক শো-তে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান সভাপতি বা তার আগের সভাপতির সঙ্গে এই জাতীয় কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ নেই। যিনি বর্তমান সভাপতি রয়েছেন, তিনি হলের ডিবেট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ডিবেট ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুবাদে তৎকালীন ছাত্রলীগের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ডিবেট ক্লাবের কারণেই যেতে হয়েছে। এটা ছাত্রদলের ক্ষেত্রেও এ ঘটনা রয়েছে।

ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ দেখালে কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এ বিষয়ে নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, ‘কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না। ইসলামী ছাত্রশিবির এমন কোনো সংগঠন না যে হঠাৎ করে কেউ ছাত্রশিবিরে জয়েন করল আর তাকে একটা শাখার প্রধান বানিয়ে দেওয়া হলো।’

তিনি বলেন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের এমন কোনো ট্রেন্ড নাই। বিভিন্ন দলে যেমন হঠাৎ স্থান পাওয়ার সুযোগ রয়েছে ছাত্রশিবিরে তেমন কোনো সুযোগ নেই। দীর্ঘ সময় ধরে ইসলামী ছাত্রশিবির করতে হয় এবং এইটা একটা আদর্শিক সংগঠনের নাম। আদর্শকে যে গ্রহণ করতে পারে সেই ইসলামী ছাত্রশিবির।

এ সময় ঢাবি শিবির সভাপতির প্রসঙ্গে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘উনি বলেছেন ছাত্রদলের যে ছয়জনকে অব্যাহতি দিয়েছি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য। কিন্তু কেউ পূর্বে ছাত্রলীগ করেছে বা পদে ছিল এ রকম না। আমরা শুধু কিন্তু ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এখন যিনি সভাপতি রয়েছেন, তিনি গণমাধ্যমে বলেছেন যে কেন তাকে ছাত্রলীগের পদ দেওয়া হয়েছে, সেটি আমাকে জিজ্ঞেস না করে ছাত্রলীগের নেতাদের জিজ্ঞেস করুন। এই একটি বাক্যই তো প্রমাণ করে যে তিনি ছাত্রলীগের দায়িত্বে ছিলেন। সুতরাং তাকে বাদ দেন।’

ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি বলেন, ‘বিগত ১০ বছরের মধ্যে আপনাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে মিছিলগুলো হয়েছে সেখানে ১০ জন ১৫ জনের বেশি আমরা দেখিনি। এগুলো কোথায় ছিল, ছাত্রলীগের মধ্যেই ছিল। ২৯ জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে ছয়জনকে আপনারা বহিষ্কার করেছেন। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির সভাপতির বিরুদ্ধে যা ছড়িয়েছে, সেগুলো গুজব ও ভুয়া খবর।’

Read Entire Article