ছাত্রসংসদ নিয়ে কোনো দেশে এত রাজনীতি হয় না

2 hours ago 2

পৃথিবীর কোনো দেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের মত এত রাজনীতি হয় না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংকের (ইউটিএল) কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ড. আতাউর রহমান বিশ্বাস।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

লিখিত বক্তব্যে ইউটিএলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, ডাকসুতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পুরোপুরি তৈরি হয়নি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ধরণের আলাপ আলোচনা ছাড়া নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। কাদের স্বার্থে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। দেশের অনেক করপোরেট মিডিয়া নির্দিষ্ট পক্ষের বক্তব্যকেই প্রাধান্য দিচ্ছে, অন্যদের মতামত সেভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। এটি নির্বাচনের পরিবেশে ভারসাম্য নষ্ট করছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামফোবিয়া বিরাজমান দাবি করে তিনি বলেন, ইসলামবিদ্বেষ একটি গভীর কাঠামোগত ও সাংস্কৃতিক সমস্যায় রূপ নিয়েছে। জামালউদ্দিন খালিদদের মিডিয়ায় কাভারেজ না দেওয়া, সাবিকুন্নাহারের ছবি বিকৃতি করে প্রচার করা, কিংবা নিত্যদিনের কৌতুক, মিম ও হাস্য-বিদুপের মাধ্যমে মুসলিম নারীদের হেয় করা। এগুলো শুধু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর আঘাত নয়, বরং সামাজিক সম্প্রীতির জন্যও হুমকি।

এসময় ইউটিএলের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি ও প্রস্তাবনা জানান তিনি। সেগুলো হলো:

১. ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা। ফ্যাসিবাদের দোসর কোনো শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত না করা।

২. নারী শিক্ষার্থীদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, পোশাক নিয়ে ব্যাশিং, হিজাব নিয়ে কুটক্তি, অনলাইন বুলিংয়ের দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া।

৩. নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা। সব ভোটকেন্দ্র ও বুথকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা।

৪. সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। কোনো ছাত্র সংগঠন কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী যাতে অন্যদের দ্বারা আক্রমণের শিকার না হয়-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সে ব্যবস্থা করা। ক্যাম্পাসে সহিংসতা ও দমননীতি কঠোরভাবে প্রতিহত করা।

৫. ন্যায়ভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। নির্বাচনী কমিটি, সিনেট ও সিন্ডিকেটে জুলাই অভ্যুত্থানের অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী ডানপন্থি ও ইসলামীপন্থি শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করা।

৬. জবাবদিহিতা ও শাস্তির সুযোগ রাখা। কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়নের নামে নতুন ফ্যাসিবাদ কায়েমের প্রচেষ্টা বন্ধ করা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।

এফএআর/এনএইচআর/এএসএম

Read Entire Article