শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ৫ টর্চার সেলে অভিযান, গ্রেফতার ৩

1 day ago 6

গাজীপুরের শ্রীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন বাহিনীর পাঁচটি টর্চার সেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ। এসময় তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র।

মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহম্মদ আব্দুল বারিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিনগত মধ্যরাতে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল ও নান্দিয়াসাঙ্গুন গ্রামে সুমনের নিয়ন্ত্রণাধীন পাঁচটি টর্চার সেলে অভিযান চালায় পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, সুমন বাহিনীর টর্চার সেলে রাতভর চলতো মাদকের আড্ডা। নিরপরাধ মানুষকে ধরে নিয়ে মারধর করে টাকা আদায় করা হতো।

গ্রেফতার তিনজন হলেন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৮), পোসাদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল শাহীদ (৩৫) ও বড়নল গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে কফিল উদ্দিন (৬৫)। বিকেলে তাদের গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়।

শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনের ৫ টর্চার সেলে অভিযান, গ্রেফতার ৩

ওসি আব্দুল বারিক জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করেন, উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঁচটি এলাকায় তার পাঁচটি আস্তানা রয়েছে। পরে সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই সব আস্তানা তল্লাশি করে একটি এয়ারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এয়ারগানকে রাইফেল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতেন সুমন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলা কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়াসাংগুন এলাকার ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজাহিদ ওরফে সুমনকে (৩৫) আটক করে পুলিশ। আটকের পর তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পথে কয়েক দফা হামলা চালায় তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা।

ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর-মাওনা সড়কের টেংরা মোড়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের ব্যবহৃত দুটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে সুমনকে ছিনিয়ে নেন তার সহযোগীরা। এর তিন দিন পর রোববার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আমিনুল ইসলাম/এসআর/এমএস

Read Entire Article