ছাত্রীদের ‘আপত্তিকর’ প্রস্তাব দেওয়া সেই অধ্যক্ষকে ওএসডি

2 hours ago 3

নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সামসুল হককে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের উপসচিব তানিয়া ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দোওয়া হয়েছে। 

প্রজ্ঞাপনে নওগাঁ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হককে অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) ঢাকা এবং উল্লাপাড়া সরকারি আকবর আলী কলেজ সিরাজগঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত এবং ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করলে তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, নওগাঁয় কলেজছাত্রীদের আপত্তিকর মেসেজ পাঠানোসহ অবৈধ সম্পর্কে জড়াতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠে অধ্যক্ষ অধ্যাপক সামসুল হকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর কলেজ গেটে বিভিন্ন স্ক্রিনশট ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশটগুলোর পাঠানো বাক্যগুলো দেখা যায়, অধ্যক্ষ সামসুল হক ছাত্রীর সুন্দরের প্রশংসা করে আরও সুন্দর আছে কিনা জানতে চান। কথোপকথনের একপর্যায়ে তিনি ‘আপত্তিকর’ কিছু ছবি চান।

আরেকটি স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, অধ্যক্ষ সামসুল হক লেখেন, ‘নতুন বউ এর সাজে দেখা করলে না?’। উত্তরে ছাত্রী লেখেন, ‘স্যার ভীষণ ব্যস্ত ছিলাম। স্টল থেকে বের হওয়ার সময় পাইনি। আজকে আমাদের স্টলে সবচাইতে বেশি সেল হইছে’। এরপর সামসুল হক লেখেন, ‘আমি তোমার বিউটি থেকে বঞ্চিত হলাম’। ফিরতি জবাবে ওই ছাত্রী লেখেন, ‘কেন স্যার? দেখা হইছিল তো আপনার সঙ্গে। তবে আপনাকে অনেক অনেক থ্যাংক ইউ স্যার। এত সুন্দর একটা আয়োজন করার জন্য। আমরা অনেক এনজয় করেছি’। আবার সামসুল হক লেখেন, ‘আমাকে দেখা দিলে আমিও করতাম’। এবার জবাবে ওই শিক্ষার্থী লেখেন, ‘স্যরি স্যার, আজকে খুবই ব্যস্ত সময় কেটেছে’।

ভাইরাল হওয়া আরেক স্ক্রিনশটে দেখা যায়, এক ছাত্রীর ফেসবুকের স্টোরিতে ‘অতীব চমৎকার’ লিখে প্রশংসা করেছেন সামসুল হক। ওই শিক্ষার্থী একটি হিন্দি গান সেট করে লেখেন, ‘কিছু মানুষের সাথে দূরত্ব হওয়া ভীষণ দরকার’। রিপ্লাই দেন সামসুল হক। তিনি ওই শিক্ষার্থীকে প্রশ্ন করে লেখেন, ‘আমি কি তার মধ্যে?’।

তবে এসব কথোপকথনের বাক্য বিনিময় কবে হয়েছে সে বিষয়ে জানা যায়নি। এবং এসব বিষয়ে কোনো ছাত্রীই মুখ খুলতে নারাজ। এ ঘটনায় বিষয়টি যাচাই সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেন।

Read Entire Article