জনগণের কাছে ক্ষমা চান, জামায়াতকে ফারুক 

3 hours ago 1
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য দেশের জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে আসেন। একদিকে বলেন পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না, অন্যদিকে বলেন গণভোট না হলে নির্বাচনে যাব না। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদ’-এর  উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় ফারুক এসব কথা বলেন। জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, শুধু শেখ হাসিনা নয়, শেখ মুজিবের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। দিল্লির প্ররোচনায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবারও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করে এই ইউনূস সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন, তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে। তিনি বলেন, নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না। বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, এ দেশের জনগণ জানে-শহীদ জিয়ার দল যতবারই ক্ষমতায় গেছে, জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। তারেক রহমানের যে আত্মত্যাগ, অন্তর্বর্তী সরকার যদি একটা সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, তাহলে তারেক রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামাল, তাঁতী দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
Read Entire Article