বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে রাষ্ট্রের যত বড় কর্তাই হোক বা প্রতিষ্ঠান হোক তাদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতেই হবে, এটাই ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় কক্সবাজারের পেকুয়া মডেল সরকারি জিএমসি ইনস্টিটিউশনের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, এতদিন যারা ৭১ -এর চেতনা বিক্রি করে খেয়েছে, এই চেতনা (জুলাই গণঅভ্যুত্থান) সেই চেতনা নয়, যে চেতনা হবে জনগণকে জবাবদিহিতা করা। যেখানে জবাবদিহিতা না করে যেন কেউ পার না পায়।
বিদ্যালয়টির এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপির এ নেতা বলেন, ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষও যেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধারণ করে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে। আর সংগঠন হিসেবে এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনও যেন সেই চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে।
পেকুয়া মডেল সরকারি জিএমসি ইনস্টিটিউশন এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিক্ষাবিদ আমিরুল মোস্তফার সভাপতিত্বে সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক মুসলেম উদ্দিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন পেকুয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেম।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এএমএম শাহাজাহান, এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাব্বির ইকবাল সুমন, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও আইনজীবী কামাল হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল মান্নান, মুজিবুল হক চৌধুরী, বাবলা বিশ্বাস, বেলাল মাহমুদ বাবুল আরো অনেকে।
এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও কক্সবাজার-১ আসনের (চকরিয়া ও পেকুয়া) সাবেক সংসদ সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ গত রোববার (৩০ মার্চ) দীর্ঘ ১০ বছর ঈদ উদযাপনের জন্য নিজ এলাকা পেকুয়ার উদ্দেশে কক্সবাজারে যান।
এর আগে বিগত ২০১৫ সালের ১০ মার্চ ঢাকা থেকে তিনি গুমের শিকার হন। পরে ভারতের শিলংয়ে তার সন্ধান মেলে। সেই থেকে তিনি ভারতে নির্বাসিত দিন কাটান। পরবর্তীতে গত বছর ৫ আগস্ট ক্ষমতার পট-পরিবর্তনের পর তিনি দেশে ফেরেন। এরপর ১১ আগস্ট তিনি দীর্ঘ বছর পর কক্সবাজার যান।
গতকাল সোমবার পেকুয়া উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তিনি ঈদের নামাজ আদায় করেন। পরে পারিবারিক কবরস্তানে বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত শেষে এলাকাবাসী, আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীসহ গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে শুভেচ্ছা এবং কুশল বিনিময় করেন।
মঙ্গলবার ঈদের দ্বিতীয়দিনও সমাজের নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সামাজিক নানান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে কর্মব্যস্ত দিন কাটান।
আগামীকাল বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করার কথা রয়েছে।