জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, ছাত্র- জনতার জুলাই বিপ্লবকে সরকারী উদ্যোগে নানা আয়োজন করে সবার কাছে জাগ্রত রাখতে হবে। তিনি গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অভিনব আয়োজন করায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে ধন্যবাদ জানান।
শনিবার (০৮ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে শিবিরের অভিনব আয়োজন ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই’ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দীন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার আওয়ামী লীগের নানা অপকর্মকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে। সর্বশেষ দেশে হাসিনা সরকার যে গণহত্যা চালিয়ে পালিয়ে গেছে তার চিত্রও এখানে ফুঁটে উঠেছে। অবিলম্বে শেখ হাসিনাসহ তার সকল দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পূর্বে মিডিয়ার স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা ছিল রুদ্ধ। মত প্রকাশের সুযোগ থেকে মানুষকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি হিসেবে আমরা যখন তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছি, তখনই জুলুম, নির্যাতন এবং নিপীড়নের সম্মুখীন হয়েছি। তিনি ছত্রিশে জুলাইয়ের স্পিরিট ধরে রাখার জন্য সকল মহলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
মোবারক হোসেন বলেন, গণহত্যাকারী পলায়নকারী হাসিনাকে দ্রুত দেশে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আজকের শিবিরের ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই’ এই ধরনের আয়োজন করার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমরা ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই’ পরিদর্শনে আপনারা আসুন। ২৪ এর আন্দোলনের যে স্প্রিরিট সেটা অনুধাবন করে যান। বৈষম্য বিরোধী ও দাসত্ব থেকে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে রক্ষা ছাত্র-জনতা যে ভূমিকা রেখেছিল তার স্থির চিত্র দেখে যান।
শিবির সভাপতি মনে করেন আওয়ামী দুঃশাসনের দীর্ঘ পনের বছর অন্যায় জুলুমের দৃশ্যগুলো দেশবাসীর জানা থাকা উচিৎ। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে জুলাই বিপ্লব আমাদের জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করতে সহায়ক হবে। ২৪ শে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে কিভাবে স্বৈরাচার পালিয়েছে তা জেনে রাখুন। ‘ফ্রেমেবন্দি ৩৬ জুলাই অভ্যুত্থানের পূর্বাপর’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিনে দর্শক মহলে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। জাতীয় চেতনায় জুলাইকে চিরভাস্বর রাখার দায়িত্ববোধ থেকে আমরা এমন আয়োজন করেছি।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, নতুন যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি সেখানে ছাত্রশিবিরের কি ভূমিকা তা দেশবাসী স্পষ্ট করেই জানেন। দেশের প্রয়োজনে এই ছাত্র সংগঠন যে মাইলফলক তা সবার জানা। আজকের এই ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই’ আয়োজনটি দেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় প্রদর্শনী হওয়া জরুরি। ভবিষ্যত বাংলাদেশকে আরও সুন্দর করে গড়তে প্রতিটি অভিভাবককে ‘ফ্রেমে বন্দি ৩৬ জুলাই’ এই প্রদর্শনী দেখে যাওয়া প্রয়োজন।