জনসচেতনতা বাড়াতে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মেগা ফেস্টিভ্যাল
মালয়েশিয়ার সামাজিক সুরক্ষা সংস্থার (পারকেসু) বিভিন্ন সুবিধা ও সুরক্ষা স্কিম সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে মেগা ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেয়ং। মন্ত্রী জানান, অনেক কর্মী এখনও জানেন না যে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, কর্মসংক্রান্ত বিপর্যয় বা অক্ষমতার ক্ষেত্রে পারকেসু থেকে কী ধরনের সুবিধা দাবি করা যায়। পাশাপাশি মাসিক কাটা কারচুপির অবস্থা অনেকেই নিয়মিত যাচাই করেন না। স্টিভেন সিম বলেন, অনেকে ভাবেন পারকেসুতে শুধু মাসে মাসে টাকা কাটে, এর প্রকৃত সুরক্ষা কী তা জানেন না। এই উৎসবের উদ্দেশ্য হলো এসব সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। একই সঙ্গে পেনশনারদের কারচুপির অবস্থা সিস্টেমে যাচাই করতে উৎসাহিত করা। শনিবার (২২ নভেম্বর) বুকিত মারতাজামে আয়োজিত মেগা ফেস্টিভ্যালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পোরকেসু বোর্ডের চেয়ারম্যান দাতুক শ্রী সুবাহান কামাল এবং গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাতুক শ্রী ড. মোহাম্মদ আজমান আজিজ মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ার সুরক্ষা স্কিমের আওতায় প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার বাংলাদেশি
মালয়েশিয়ার সামাজিক সুরক্ষা সংস্থার (পারকেসু) বিভিন্ন সুবিধা ও সুরক্ষা স্কিম সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে মেগা ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেয়ং।
মন্ত্রী জানান, অনেক কর্মী এখনও জানেন না যে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, কর্মসংক্রান্ত বিপর্যয় বা অক্ষমতার ক্ষেত্রে পারকেসু থেকে কী ধরনের সুবিধা দাবি করা যায়। পাশাপাশি মাসিক কাটা কারচুপির অবস্থা অনেকেই নিয়মিত যাচাই করেন না।
স্টিভেন সিম বলেন, অনেকে ভাবেন পারকেসুতে শুধু মাসে মাসে টাকা কাটে, এর প্রকৃত সুরক্ষা কী তা জানেন না। এই উৎসবের উদ্দেশ্য হলো এসব সুবিধা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। একই সঙ্গে পেনশনারদের কারচুপির অবস্থা সিস্টেমে যাচাই করতে উৎসাহিত করা।
শনিবার (২২ নভেম্বর) বুকিত মারতাজামে আয়োজিত মেগা ফেস্টিভ্যালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পোরকেসু বোর্ডের চেয়ারম্যান দাতুক শ্রী সুবাহান কামাল এবং গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাতুক শ্রী ড. মোহাম্মদ আজমান আজিজ মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে মালয়েশিয়ার সুরক্ষা স্কিমের আওতায় প্রায় ৩ লাখ ২০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক নিবন্ধিত। এই শ্রমিকরা মূলত নির্মাণ, উৎপাদন, সেবা ও গৃহপরিচর্যা খাতে কর্মরত। তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করছে যে কোনো দুর্ঘটনা বা অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে তারা সামাজিক সুরক্ষা ও আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।
তিনি জানান, তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের উপস্থিতির আশা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে দুই দিনেই প্রায় ১৩ হাজার দর্শনার্থী অংশ নিয়েছেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ উৎসব নিয়োগকর্তাদের জন্যও একটি সুযোগ তৈরি করেছে, যেন তারা কর্মীদের বকেয়া কারচুপির অর্থ পরিশোধ করতে পারেন। এজন্য বিশেষভাবে বিলম্বিত কারচুপি ফিতে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসে এই ছাড় দেওয়া হয় এবং কখনো কখনো মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এবারের উৎসবে বিশেষ ছাড় দেওয়ার মাধ্যমে মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় ও সামাজিক সুরক্ষ নিশ্চিত করেছে যে দেশের সব শ্রমিক সুরক্ষিত।
এ পর্যন্ত ৭০ জন নিয়োগকর্তা বিলম্বিত কারচুপি ফি-এর জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন। মোট বকেয়া দাবি ২০৫,১৮৫ রিঙ্গিত, যার মধ্যে ৮০ শতাংশ অর্থাৎ ১৬৪,০০০ রিঙ্গিত, ছাড় দেওয়া হয়েছে।
মেগা ফেস্টিভ্যালে ২৭টি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে ২,০০০–এর বেশি চাকরির সুযোগ নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাই ফিউচার জব– নিরাপদ কর্মজীবন মেলা। এছাড়া উৎসবে অংশ নেন জনপ্রিয় শিল্পীরা।
এমআরএম/এমএস
What's Your Reaction?