কুষ্টিয়ায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) জনসভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনকে অশালীন ভাষায় সম্মোধন করে বক্তব্য দিয়েছেন দলটির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন। এ ছাড়া তিনি জনসভায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিষোদগার করেছেন।
এ বক্তব্যের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা শুরু হয়। এ ঘটনায় বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের সমর্থকরা ঝাড়ুমিছিল করেন।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার জেলার মিরপুর উপজেলার আমলায় জাতীয় পার্টির জনসভা ছিল। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান হাবীব লিংকন বিএনপি নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিনকে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এ সময় তিনি জামায়াত ইসলামীর নেতাদরকেও বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এই ভিডিও বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
শহরজুড়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঝাড়ু মিছিল করে। বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এ সময় ভেড়ামারা মিরপুরে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
পরদিন ২২ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলন দেখে আহসান হাবীব লিংকন নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, জনসভার আগে আমার তিনজন বিশিষ্ট নেতার মোবাইল হারিয়ে যায়। এটা টাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। এ ছাড়াও আরও কিছু দুর্ঘটনার জন্য আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। তাই ভুলক্রমে গালিগালাজ করে ফেলেছি। ক্ষমা চাওয়া দোষের কিছু না,তাই নিঃস্বার্থ ক্ষমা চাচ্ছি।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানকে জড়িয়ে আমাকে নিয়ে তার বক্তব্যটি শুনে নিস্তব্ধ হয়ে গেছি। এমন বক্তব্য অপ্রত্যাশিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।