জবি ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ

11 hours ago 6

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় চাঁদাবাজি ও দোকান দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা হলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ বিন হাসিম ও ওমর ফারুক।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী মিলে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ‘খাওন দাওন’ নামে একটি খাবারের দোকান চালু করেন। প্রাথমিকভাবে ব্যবসা ভালো চললেও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষার কারণে সাময়িকভাবে দোকান বন্ধ রাখা হয়। এই সুযোগে জবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ বিন হাসিম ও ওমর ফারুক দোকানের জায়গা দখলের চেষ্টা চালান এবং প্রতিদিন ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে তারা দোকানের মালামাল সরিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শিহাব প্রান্ত বলেন, টিএসসিতে থাকা আমাদের দোকান ‘খাওন দাওন’ পেশিশক্তি ব্যবহার করে দখল করার চেষ্টা করেন ছাত্রদলের রাশেদ ও ফারুক।

তারা প্রথমে দৈনিক ৫০০ টাকা চাঁদা দাবি করে, তাতে আমরা সম্মত না হলে আজ দুপুর ১টায় আমার দোকানের সব মালামাল সরিয়ে ফেলেন আমার অজান্তেই। আমরা ইতোমধ্যে দোকানে ১ লাখ ৪০ হাজার মতো টাকা খরচ করেছি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ওমর ফারুক বলেন, আমরা কোনো চাঁদা চাইনি। ওই ছেলেরা তাদের দোকান পাশের এক ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন ২০০ টাকা চাঁদা নিচ্ছিল। সেই ব্যবসায়ী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন। তাই আমরা দোকানটি সংস্কার করে অন্য একজনকে দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে।

এই দোকানের দখলসংক্রান্ত বিষয়ে তার কোনো এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চাইলে ওমর ফারুক বলেন, এখানে কারও কোনো এখতিয়ার নেই। ওদেরও নেই। আমরা শুধু অন্য কারও জন্য কর্মসংস্থান তৈরির চেষ্টা করছিলাম।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত রাশেদ বিন হাসিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমরা আহ্বায়কের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ছাত্রদল আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। তবে যদি অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে যথাযথ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যারা আগের দোকানের মালিক ছিলেন, তাদের স্বাভাবিকভাবে ব্যবসা চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে।

Read Entire Article