জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) এ দাবিতে জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় তথা বাংলাদেশে মেধার গুরুত্ব দিয়ে একটি প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীল শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে ২০১৮ সাল থেকে বৈষম্য তথা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। ২০২৪ সালে যা চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায়। শত শত শিক্ষার্থীর জীবনের বিনিময়ে, অঙ্গহানির বিনিময়ে সাবেক ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়- হাজার হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিময়ে যে দ্বিতীয় বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেখানেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা এখনো বিদ্যমান। যা ২৪-এর বিপ্লবের চেতনার সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা আশা করি, উপাচার্য বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে পোষ্য কোটা বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
স্মারকলিপির বিষয়ে কে এম রাকিব নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, পোষ্য কোটা অন্যান্য ভয়ানক কোটার মধ্যে একটি। যে কোটা বাতিলের জন্য এত বড় আন্দোলন, এত প্রাণ ঝরেছে, যেখানে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতার কথা বলি, সেই কোটা কেন থাকবে? কোটা মানেই অযোগ্যদের টেনে এনে অযৌক্তিক সুবিধা দেওয়া।
এ শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমরা এটি কখনো হতে দেব না। এ পোষ্য কোটার জন্য মেধাবীরা বঞ্চিত হয়। এই নতুন বাংলাদেশে আর কোনো মেধাবীকে আমরা বঞ্চিত হতে দেবো না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশনায় পোষ্য কোটার ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রতি বিভাগে ২ জনের বেশি নয়। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগে সর্বোচ্চ দুই জন পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবেন। সেই হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি বিভাগে দুজন শিক্ষার্থী পোষ্য কোটায় ভর্তি হতে পারবেন।
আরএএস/কেএসআর/এএসএম