পবিত্র জমজম কূপের পানি পান করার ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখতে হবে ও আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে।
আরও বলা হয়েছে, পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন। এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে, এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।
আর পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভিড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এদিকে ওমরাহ পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাহ শেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান।
জমজমের বিশুদ্ধ পানি মূলত ইসলামের দুই পবিত্র স্থান- মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববিতে বিতরণ করা হয়। নতুন ওমরাহ মৌসুমকে সামনে রেখে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কাছে জমজমের পানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অন্য দেশ থেকে যারা সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যান, তারা দেশে ফেরার সময় প্রায়ই জমজমের পানি কিনে নিয়ে যান। এই পানি সাধারণত তারা আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের উপহার দিয়ে থাকেন।
পবিত্র কাবা থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে অবস্থিত ৩০ মিটার গভীরে কূপের নিচে জমজমের পানি। জমজমের পানি হাজার বছর ধরে কোটি তৃষ্ণার্ত হাজীর পিপাসা মিটিয়ে আসছে। নবী ইবরাহিম (আ.) এর ছেলে নবী ইসমাইল (আ.) এর স্মৃতিবিজড়িত কূপ জমজম।
হজ ও ওমরা আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে ও পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মোস্তাহাব। সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবীজি (স.) নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন।
বর্তমানে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমেই ওমরাহ ও হজযাত্রীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমজমের পানির জন্য বুকিং দিতে পারেন। সম্প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যও নুসুক অ্যাপটি উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরবের ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়।
সূত্র: গালফ নিউজ
এসএএইচ