জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে ঢাকা ছাড়লেন নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন-‘ইউনাইটেড নেশন্স মিশন ইন সাউথ সুদান (আনমিস)’-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-তে অংশ নিতে প্রথম গ্রুপে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ জন সদস্যের একটি কন্টিনজেন্ট ঢাকা ত্যাগ করেছে। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন নৌবাহিনী সদস্যরা। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কন্টিনজেন্টটি ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১০’ এর প্রতিস্থাপক হিসেবে দক্ষিণ সুদানে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও, আগামী ১৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় গ্রুপে আরও ৩৯ জন নৌসদস্য বর্ণিত শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেবেন। বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর আরও জানায়, জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত রয়েছে। সুদানের প্রত্যন্ত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জ্বালানি, খাদ্যসামগ্রী, ওষুধপত্র ও মানবিক সাহায্য বহনকারী বার্জসমূহের নিরাপদ চলাচলের নিশ্চয়তা বিধান, নৌপথের জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিনির্বাপণে স্থানীয় জনগণকে সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়াও, বার্জসমূহে কর্মরত বেসামরিক নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ,

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে ঢাকা ছাড়লেন নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন-‘ইউনাইটেড নেশন্স মিশন ইন সাউথ সুদান (আনমিস)’-এ নিয়োজিত ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১১’-তে অংশ নিতে প্রথম গ্রুপে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৯৯ জন সদস্যের একটি কন্টিনজেন্ট ঢাকা ত্যাগ করেছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন নৌবাহিনী সদস্যরা।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কন্টিনজেন্টটি ‘বাংলাদেশ ফোর্স মেরিন ইউনিট-১০’ এর প্রতিস্থাপক হিসেবে দক্ষিণ সুদানে দায়িত্ব পালন করবে। এছাড়াও, আগামী ১৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় গ্রুপে আরও ৩৯ জন নৌসদস্য বর্ণিত শান্তিরক্ষী মিশনে যোগ দেবেন।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে ঢাকা ছাড়লেন নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআর আরও জানায়, জাতিসংঘের নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট দক্ষিণ সুদানে নিয়োজিত রয়েছে। সুদানের প্রত্যন্ত এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জ্বালানি, খাদ্যসামগ্রী, ওষুধপত্র ও মানবিক সাহায্য বহনকারী বার্জসমূহের নিরাপদ চলাচলের নিশ্চয়তা বিধান, নৌপথের জলদস্যুতা পর্যবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ, অগ্নিনির্বাপণে স্থানীয় জনগণকে সহায়তা দিচ্ছে।

এছাড়াও, বার্জসমূহে কর্মরত বেসামরিক নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং মিশনে নিয়োজিত সদস্যদের প্রয়োজনীয় রসদ সামগ্রী দুর্গম স্থানে পরিবহনে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে নৌবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। একই সঙ্গে আহত সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিদের উদ্ধার ও জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ ডুবুরি সহায়তা দিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে নৌবাহিনী।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে ঢাকা ছাড়লেন নৌবাহিনীর ৯৯ সদস্য

দক্ষিণ সুদান ছাড়াও লেবাননের ভূমধ্যসাগরে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সংগ্রাম’ নিয়োজিত রয়েছে।

নীল নদের দীর্ঘ ১৩১১ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ৭১টি লজিস্টিক অপারেশন্স (অপারেশন লাইফ লাইন) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিরক্ষায় নৌবাহিনীর এই গর্বিত অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ও সুনাম বহুলাংশে বৃদ্ধি করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

টিটি/এমকেআর/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow