মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদর দপ্তরের চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখতে না রাখতেই সেটি থেমে যায়। শুধু তাই নয় জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার সময় টেলিপ্রম্পটারটিও (বক্তব্যের লিখিত রূপ ভেসে ওঠার স্ক্রিন) কাজ করছিল না। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
চলন্ত সিঁড়ি এবং টেলিপ্রম্পটার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনা কিছুটা রেগে গেছেন ট্রাম্প এবং ওয়াশিংটন এই ঘটনাকে গুরুতর ঘটনা হিসেবে দেখছে। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, চলন্ত সিঁড়ি ইচ্ছাকৃতভাবে থামানো হয়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ফক্স নিউজকে বলেন, যদি প্রমাণিত হয় যে জাতিসংঘের কোনো কর্মী ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডিকে বিপদে ফেলতে চেয়েছেন তবে তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে এবং আমি নিজেই তা নিশ্চিত করব।
তিনি এক্সে এক পোস্টে বলেন, যদি কেউ ইচ্ছা করে এস্কেলেটর বন্ধ করে থাকে, তাদের চাকরি যাবে এবং তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করতে হবে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুযারিক জানান, ট্রাম্পের আগে দাঁড়ানো একজন ব্যক্তি নিরাপত্তা সেন্সর সক্রিয় করায় চলন্ত সিঁড়ি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। পরে যন্ত্রটি রিসেট করে চালু করা হয়।
৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প চলন্ত সিঁড়িতে পা রাখার পরপরই তা হুট করে বন্ধ হয়ে যায়। পরে ভাষণ শুরু করতে গিয়ে ট্রাম্প দেখেন টেলিপ্রম্পটারও কাজ করছে না। তিনি মঞ্চে বলেন, যে এই টেলিপ্রম্পটার চালাচ্ছে সে বড় সমস্যায় পড়বে। তিনি মজা করে বলেন, জাতিসংঘ থেকে আমি দুটি জিনিস পেয়েছি-একটি খারাপ চলন্ত সিঁড়ি এবং একটি খারাপ টেলিপ্রম্পটার।
তবে জাতিসংঘ বলছে, এস্কেলেটর বন্ধ হওয়া ছিল প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা আর টেলিপ্রম্পটার নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য নেই কারণ এটি হোয়াইট হাউজ পরিচালনা করে।
টিটিএন