জাতীয় পার্টির বিচারও ট্রাইব্যুনালে চান নুর

2 hours ago 3

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সরকার যদি আগামীতে শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, তবে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জাতীয় পার্টিকেও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির যেসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে খুন ও দুর্নীতির মামলা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকে নয় দফা প্রস্তাবনা পেশ করেন নুরুল হক নুর।

সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে নুর বলেন, ছোট-বড় সব দলের প্রার্থীরা এখন প্রচার ও গণসংযোগে ব্যস্ত। তবে জুলাই সনদ নিয়ে বিভাজন থাকলে নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে না, বাধাগ্রস্ত হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, নির্বাচন বিলম্বিত হলে রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, সরকার এবং পুরো দেশ চরম বিপদের মুখে পড়বে। নির্বাচনের এক মাস আগে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে কমিশনের উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ আছে, তাই তারা যেন সরকারপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্পষ্ট করে।

আমরা নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করেছি যেন তারা নির্বাচনি প্রস্তুতি জোরদার করে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। কমিশন জানিয়েছে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ হলেই আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু হবে। এখন আর ডানে-বামে নয়, দেশকে সরাসরি নির্বাচনের পথে এগোতে হবে— জুলাই সনদ ও জাতীয় নির্বাচনই সব প্রশ্নের চূড়ান্ত ফয়সালা নির্ধারণ করবে।

নিজ নিজ প্রতীকে ভোট করা প্রসঙ্গে নুরুল হক নুর বলেন, ইসির সিদ্ধান্তকে অ্যাপ্রিশিয়েট করি। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কোনো আলাপ ছাড়াই কমিশন যখন আরপিও সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা তা ইতিবাচকভাবে দেখি।

তিনি বলেন, নির্বাচন জোটে হলেও প্রার্থীরা নিজের দলের প্রতীকে অংশ নেবে। কিছু দল বা নেতারা হয়তো আপত্তি জানাতে পারেন, তবুও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় যেসব সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশন একমত হয়েছে, তা কার্যকর করা হচ্ছে, আর প্রার্থীদের নিজের দলের প্রতীকে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত তারই অংশ।

এমওএস/এমএএইচ/এমএস

Read Entire Article