২০১৭ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক শিক্ষা ও অন্তর্ভুক্তির জন্য ‘জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল’ চালু করে, যার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর্থিক সাক্ষরতা কর্মসূচি চালু করা হয়। ডিজিটাল লেনদেন, ই-ওয়ালেট ও অনলাইন ব্যাংকিংয়ের প্রসারের ফলে মানুষের মধ্যে আর্থিক সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পায়।
আর্থিক সাক্ষরতার শিক্ষায় শিক্ষিত বর্তমান তরুণেরা পুঁজিবাজারে সক্রিয়ভাবে বিনিয়োগ করছেন। সেখানে ৭০ শতাংশ খুচরা বিনিয়োগকারীর বয়স ৪৫ বছরের কম। তবে, বিশ্বব্যাপী তরুণদের আর্থিক সাক্ষরতার হার ৫০ শতাংশের নিচে যেটি এখনো উদ্বেগের কারণ।
কিন্তু বৈশ্বিক গবেষণা বলছে, ডেনমার্ক ও নরওয়েতে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের আর্থিকভাবে শিক্ষিত হওয়ার হার ৭১ শতাংশ, যা বৈশ্বিক গড়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
অন্যদিকে পূর্ব ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, সাবসাহারান আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোয় ইতোমধ্যেই উদ্বেগজনকভাবে বৈশ্বিক গড়ের নিচে রয়েছে।
কিন্তু আফগানিস্তান, আলবেনিয়া ও অ্যাঙ্গোলায় আর্থিকভাবে শিক্ষিত প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সংখ্যা ১৪ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে কম। তবে অর্থনৈতিক বিভিন্ন মানদণ্ডে বাংলাদেশ এসব দেশের বেশ ওপরে জায়গা করে নিলেও আর্থিক সাক্ষরতায় ২৮ শতাংশ অর্জন নিয়ে সামনে কতটুকু এগোনো যাবে, সেটি সময়ই বলে দেবে।
লেখক : এম এম মাহবুব হাসান, ব্যাংকার ও উন্নয়ন গবেষক