জাতীয় কাবাডির ফাইনালে হামলার অভিযোগ, খেলোয়াড়-কোচসহ আহত ৫

2 weeks ago 12

তারুণ্যে উৎসব উপলক্ষে টাঙ্গাইলে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাবাডি প্রতিযোগিতার ফাইনাল ম্যাচে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ময়মনসিংহ দলের খেলোয়াড় ও কোচসহ জন ৫ আহত হয়েছেন। এছাড়া রেফারি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে টাঙ্গাইলের শহীদ মারুফ স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ময়মনসিংহ পুরুষ দলের কোচ মাহবুবুল আলম রতন, খেলোয়াড় রাজন সাংমা, উল্লাস, রিপন ও সোনালী।

জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের উদ্যোগে জাতীয় কাবাডি (পুরুষ-নারী) প্রতিযোগিতা শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় ৭টি জেলার পুরুষ দল ও ৬টি জেলার নারী দল অংশগ্রহণ করে। রোববার বিকেলে উভয় দলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পুরুষ দলে টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ অংশ নেয়। নারী দলে জামালপুর ও টাঙ্গাইল দল অংশ নেয়।

ময়মনসিংহ দলের খেলোয়াড় মোহাম্মদ হাবিব জাগো নিউজকে বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার পর থেকে রেফারিরা টাঙ্গাইল দলকে সুবিধা দিতে থাকে। আমাদের কোনো খেলোয়াড়কে ‘ম্যানটাচ’ না হলেও টাঙ্গাইলের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেয়। আমরা পয়েন্টে এগিয়ে ছিলাম। খেলা শেষ হওয়ার দুই মিনিট আগে রেফারির কাছে বিষয়টি জানালে উল্টো রেফারি আমাদের সঙ্গে ‘দুষ্টু রেফারিং’ করে টাঙ্গাইল পুরুষ দলকে চ্যাম্পিয়ন করার অভিযোগ উঠেছে। এসময় দায়িত্বরত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা না দেয়াও অভিযোগ করা হয়। হাতাহাতি করে। পরে মাঠের দর্শক ও টাঙ্গাইল দলের খেলোয়াড়রা আমাদের ওপর হামলা করে। এতে প্রশাসনের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। আমাদের ওপর আক্রমণের সঠিক বিচার চাই।

জাতীয় কাবাডির ফাইনালে হামলার অভিযোগ, খেলোয়াড়-কোচসহ আহত ৫

ময়মনসিংহ পুরুষ দলের ম্যানেজার অনিক হাসান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের দলের কোচকে চেয়ার দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এমনকি চোখেও আঘাত করা হয়। এ ঘটনায় আমাদের ৪টি দলের খেলোয়াড় আহত হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করছি। মারামারির পরেও পুলিশ আমাদের কোনো নিরাপত্তা দেয়নি।

নারী দলের খেলোয়াড় সুনালী জাগো নিউজকে বলেন, কোচকে রক্ষা করতে গেলে আমাদের ওপরও হামলা করা হয়। আমাদের মেরে হাড় ভেঙে ফেলার হুমকি দেয়।

অভিযোগের ব্যাপারে ব্রহ্মপুত্র জোনের প্রধান সমন্বয়কারী আজগর আলী জাগো নিউজকে বলেন, খেলায় আন্তর্জাতিক মানের রেফারি খেলা পরিচালনা করেছেন। ময়মনসিংহ দল গোলমাল করেছে। তাদের কোচ ও ম্যানেজার টাঙ্গাইল জয়লাভ হওয়ার পরেই রেফারির ওপর চড়াও হয়ে কিল ও ঘুসি মারেন। পরে সঙ্গে সঙ্গে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। তাদের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। এখানে পর্যন্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল।

এদিকে ফাইনাল খেলায় পুরুষ ক্যাটাগরিতে টাঙ্গাইল দল ২৯-২৭ পয়েন্টে ময়মনসিংহ দলকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। অপরদিকে নারী ক্যাটাগরিতে টাঙ্গাইল দল ২২-১৯ পয়েন্টে জামালপুর দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।

খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল্যাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক, কোষাধ্যক্ষ মনির হোসেন ও সদস্য মাসুদুর রহমান চুন্নু প্রমুখ অতিথি ছিলেন। ব্রহ্মপুত্র জোনের প্রধান সমন্বয়কারী ও কাবাডির জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় আজগর আলীর সভাপতিত্ব করেন।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এমএন/এমএস

Read Entire Article