জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ও উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ দাবিতে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ-সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
ডা. তাহের বলেন, একতরফাভাবে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ ঘোষণা অন্যায় হয়েছে বলে আমরা মনে করি। কালো টাকার ব্যবহার, পেশিশক্তি ও নির্বাচনী অনিয়ম বন্ধে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হবে। মানুষের দাবিকে উপেক্ষা করায় গণআন্দোলনের বিকল্প নেই। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব না–এমন কথা কখনও বলিনি। আমরা বলেছি, আমাদের দাবি মেনে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
নির্বাচন পেছাতে চাওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তাদের জিজ্ঞাসা করুন, কী প্রমাণ আছে আমরা নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছি? তিনজন সচিবকে জামায়াতপন্থি বলা হচ্ছে, তাহলে বাকি ৯৭ জন কার? আমরা এসব বলি না, কারণ আমরা এসব নোংরামিতে বিশ্বাস করি না।
তিনি আরও বলেন, পিআর পদ্ধতিতে ভোট দিতে কোনো জটিলতা নেই, বিদ্যমান পদ্ধতির মতোই। বরং জনগণের মধ্যে পদ্ধতিগত জটিলতা কমবে। অন্য দলের দাবি যৌক্তিক হলে সেটাও মানতে বলব, আমাদের দাবি যৌক্তিক হলে সেটাও মানতে বলব– যুক্তিই ঠিক করবে কোনটা যৌক্তিক।
নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রশ্নে ডা. তাহের বলেন, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বলে মনে করি না। ফেব্রুয়ারির আগে এখনও পাঁচ মাস সময় রয়েছে, এর মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ সম্ভব।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সকল বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সকল জেলা/উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাড. মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অ্যাড. মতিউর রহমান আকন্দ, আব্দুর রব, মোবারক হোসেন, মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আ. রহমান মূসা, দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ইয়াসিন আরাফাত, প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার প্রমুখ।