জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড মার্চ

2 months ago 10

জাতীয় সম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দাবিতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দুইদিনের রোড মার্চ শুরু করেছে ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণ’।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। গান পরিবেশনের মাধ্যমে রোড মার্চের কর্মসূচি শুরু করা হয়।

জানা যায়, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে বিভিন্ন জায়গায় সমাবেশ করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে গিয়ে রোড মার্চ শেষ করবেন তারা। প্রথম দিন তারা জাতীয় প্রেস থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবেন। সেখান থেকে বিকেল ৫টায় কুমিল্লার টাউন হল ময়দানে সমাবেশ করা হবে।

দ্বিতীয় দিন সকাল ৯টায় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে মীরসরাই পৌঁছে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করবেন তারা। সেখান থেকে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজে সমাপনী সমাবেশ করে তাদের রোড মার্চ কর্মসূচি শেষ করবেন।

রোড মার্চ শুরুর আগে ঢাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। এসময় বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স কর্মসূচি পালনের চার দফা দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-

১. নিউমুরিংসহ চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা বিদেশিদের হাতে দেওয়া চলবে না, রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে পরিচালনা করতে হবে;
২. রাখাইনে করিডোর দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে;
৩. স্টারলিংক, সমরাস্ত্র কারখানা, করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধচক্রে জড়ানোর উদ্যোগ বন্ধ করতে হবে;
৪. মার্কিন-ভারতসহ সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের সঙ্গে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারসহ বিগত সব সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত সকল চুক্তি প্রকাশ করতে হবে ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে।

এসময় রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, আগামীকাল বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে ঐতিহাসিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের শান্তিপূর্ণ রোড মার্চ শেষ করবো। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। আমরা আশা করবো বিগত সরকারের ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার বন্দরকে ইজারা দেওয়াসহ যে কাজ করতে চাইছেন তার থেকে তারা পিছু হটবেন। এই যদি সরকার এই দায়িত্ব পালন না করে তাহলে আগামীকাল সমাপনী সমাবেশ থেকে আমরা ঘোষণাপাঠের সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।

এই রোড মার্চ কর্মসূচির প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ সংহতি জানিয়েছেন বলে জানান রুহিন হোসেন প্রিন্স।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সিপিবির সভাপতি শাহ আলম, বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক ঐক্যের সভাপতি মফিজুর রহমান লালটু, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুস সবুর খান, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আরএএস/বিএ/এমএস

Read Entire Article