ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, আমরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের ১৬ বছর ও ৫৩ বছরের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে নির্বাচন করতে হবে। আমাদের জাতীয় ঐক্য থাকতে হবে। দুর্নীতিবাজ, লুটেরাদের নেতৃত্বে যারা আওয়ামী লীগকে আনতে চায় তারা দেশের শত্রু।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছেন তিনি। ইউসুফ আহমদ মানসুরকে সভাপতি ও মুহাম্মাদ মুনতাসির আহমদকে সহ-সভাপতি এবং শেখ মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমানকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন তিনি।
চরমোনাই পির বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে বলেছি মানুষের ইমান-আকিদা ও বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যাতে না যায়। তারপরও আপত্তি করার পর ফারুকীকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। আশা করি সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, ভারত কোনো দিন আমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারেনি। সে দেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেনি। ভারতের সংখ্যালঘুরা হার অনুযায়ী চাকরি পায়নি। বাংলাদেশে ৩৭ শতাংশ সংখ্যালঘু চাকরি পেয়েছে। ৭১-এ ভারত বাংলাদেশে লুটপাট করে নিয়ে গেছে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল বশর আজিজীর সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ মুনতাসির আহমদের পরিচালনায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল আউয়াল প্রমুখ।
এএএম/এমআইএইচএস/এএসএম