জানেন কি কত আয় করলে আয়কর দিতে হবে?
আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই চাকরি বা ফ্রিল্যান্স আয় করতে গিয়ে একটা প্রশ্নে আটকে যান-আমার আয় কি আয়করের আওতায় পড়ে? কর-ব্যবস্থাকে জটিল মনে হলেও আসলে কিছু মৌলিক বিষয় জানলে এটি খুব সহজ। নিজের আয়, জীবনযাত্রা আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনার সঙ্গে কর জ্ঞানের একটি সরল সম্পর্ক আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কত আয় করলে আয়কর দিতে হবে আর দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে সেটা বুঝে রাখবেন। বাংলাদেশে ব্যক্তিপর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় থাকে যেটা পর্যন্ত কোনো কর দিতে হয় না। সাধারণত একজন করদাতার জন্য এই সীমা ৩.৫ লাখ টাকা ধরা হয়। অর্থাৎ আপনার বার্ষিক আয় যদি এই সীমার নিচে থাকে তাহলে করের চিন্তা নেই। আয় বেশি হলেই যে পুরো টাকায় কর দিতে হয় এটা ভুল ধারণা। অনেকেই মনে করেন, কর-মুক্ত আয়ের সীমা একটু ছাড়ালেই পুরো আয়ে কর দিতে হবে। আসলে তা নয়। কর শুধুমাত্র সীমার ওপরে থাকা অংশে ধরা হয়। যেমন: আপনার আয় যদি ৪ লাখ টাকা হয়, তবে কর লাগবে শুধুমাত্র ৫০ হাজার টাকায়। সবার কর-মুক্ত সীমা একই নয়। আপনি পুরুষ, নারী, প্রবীণ বা ভিন্ন সক্ষমতার ব্যক্তি-এর ওপর কর-মুক্ত সীমা পরিবর্তিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এই সীমা তুলনামূলকভাবে বেশি হ
আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই চাকরি বা ফ্রিল্যান্স আয় করতে গিয়ে একটা প্রশ্নে আটকে যান-আমার আয় কি আয়করের আওতায় পড়ে? কর-ব্যবস্থাকে জটিল মনে হলেও আসলে কিছু মৌলিক বিষয় জানলে এটি খুব সহজ। নিজের আয়, জীবনযাত্রা আর ভবিষ্যতের পরিকল্পনার সঙ্গে কর জ্ঞানের একটি সরল সম্পর্ক আছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কত আয় করলে আয়কর দিতে হবে আর দৈনন্দিন জীবনে কীভাবে সেটা বুঝে রাখবেন।
- বাংলাদেশে ব্যক্তিপর্যায়ে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় থাকে যেটা পর্যন্ত কোনো কর দিতে হয় না। সাধারণত একজন করদাতার জন্য এই সীমা ৩.৫ লাখ টাকা ধরা হয়। অর্থাৎ আপনার বার্ষিক আয় যদি এই সীমার নিচে থাকে তাহলে করের চিন্তা নেই।
- আয় বেশি হলেই যে পুরো টাকায় কর দিতে হয় এটা ভুল ধারণা। অনেকেই মনে করেন, কর-মুক্ত আয়ের সীমা একটু ছাড়ালেই পুরো আয়ে কর দিতে হবে। আসলে তা নয়। কর শুধুমাত্র সীমার ওপরে থাকা অংশে ধরা হয়। যেমন: আপনার আয় যদি ৪ লাখ টাকা হয়, তবে কর লাগবে শুধুমাত্র ৫০ হাজার টাকায়।
- সবার কর-মুক্ত সীমা একই নয়। আপনি পুরুষ, নারী, প্রবীণ বা ভিন্ন সক্ষমতার ব্যক্তি-এর ওপর কর-মুক্ত সীমা পরিবর্তিত হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এই সীমা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। সুতরাং আপনার শ্রেণি অনুযায়ী সীমাটি জানা খুব জরুরি।
- বেতন, ব্যবসা, ফ্রিল্যান্স সব আয় মিলে হিসাব করতে হয়। কেউ কেউ চাকরি করে, কেউ পার্টটাইম বা ফ্রিল্যান্স কাজ করেন। আবার অনেকের ছোটখাটো ব্যবসাও থাকে। কর হিসাব আয়ের ধরন অনুযায়ী আলাদা নয়, বরং সব আয় মিলেই বার্ষিক মোট আয় ধরা হয়। তাই বছরের শেষে নিজের মোট আয়ের একটি হিসাব রাখলে রিটার্ন দিতে সুবিধা হয়।
- কর দায়িত্ব ও নিজের আর্থিক শৃঙ্খলার অংশ। অনেকে করকে শুধু ঝামেলা মনে করেন। কিন্তু কর দেওয়ার মানে হলো আপনি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক করদাতা, আপনার আর্থিক পরিচয় স্পষ্ট এবং ভবিষ্যতে নানা সুবিধা (ঋণ, ভিসা, ব্যবসা) পাওয়ার জন্য আপনি যোগ্য হয়ে উঠছেন। এটা একধরনের ফাইন্যান্সিয়াল স্মার্টনেস।
- কর সম্পর্কে জানা মানে নিজের অর্থের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকা। যতই আয় করুন না কেন, আয়কর সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা না থাকলে নিজের অর্থ নিয়ে আপনি সবসময় অস্বস্তিতে থাকবেন।
কর সম্পর্কে জানার সুবিধা
>> কর কত হবে বুঝতে পারেন
>> অপ্রয়োজনীয় ভয়ে ভুগবেন না
>> নিজের উপার্জন কীভাবে বাড়ানো বা সেভ করা যায় তা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন
রিটার্ন দেওয়া একটি ভালো অভ্যাস
আয়কর রিটার্ন শুধু বাধ্যতামূলক নথি নয়, এটি ব্যক্তিগত স্তরে একটি সুন্দর আর্থিক অভ্যাস। যারা নিয়মিত রিটার্ন দেন, তাদের আর্থিক লেনদেন অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য হয়। ফলে ভবিষ্যতে ব্যাংক লোন, ভিসা প্রসেস, সম্পত্তি কেনা, ব্যবসা বাড়ানো এসবেই সুবিধা মেলে।
আপনার আয় যদি কর-মুক্ত সীমার মধ্যে থাকে তাহলে ভাবনার কিছু নেই। আর যদি সীমা ছাড়িয়ে যায় তাহলে নিয়ম অনুযায়ী যে অংশ করযোগ্য, শুধু সেটাতেই কর দিতে হবে। কর যে শুধু বাধ্যবাধকতা নয়; এটি জীবনের ফাইন্যান্সিয়াল প্ল্যানিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ, সেটা মাথায় রাখলে কর নিয়ে অযথা ভয় বা জটিলতা আর থাকে না।
জেএস/
What's Your Reaction?
