জাপানের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলেছে। দেশটির লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও জাপান ইনোভেশন পার্টি (ইশিন) একত্রে জোট সরকার গঠনে সম্মত হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) জাপানি সংবাদ সংস্থা কিওডো নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।
এই সমঝোতার ফলে জাপান প্রথমবারের মতো একজন নারী প্রধানমন্ত্রী পেতে যাচ্ছে, যিনি এলডিপির নেতা এবং দেশটির দীর্ঘদিনের রক্ষণশীল রাজনীতির প্রভাবশালী মুখ।
কিওডো জানায়, তাকাইচি ও ইশিন নেতা হিরোফুমি ইয়োশিমুরা সোমবার একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে সই করবেন, যা তাদের জোটকে চূড়ান্ত রূপ দেবে।
এর আগে ইশিন পার্টির সহ-প্রধান শুক্রবার বলেন, জোট আলোচনায় বড় অগ্রগতি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় তিনি জানান, আলোচনা এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে এবং সোমবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
ইশিন মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটে তাকাইচিকে সমর্থন দেবে, তবে প্রাথমিকভাবে কোনো মন্ত্রী না পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
এটি এলডিপি–কোমেইতো জোটের তুলনায় কিছুটা অন্যরকম হবে। কোমেইতো চলতি মাসের শুরুর দিকে এলডিপির সঙ্গে ২৬ বছরের জোট ছাড়ার ঘোষণা দেয়, যা সরকারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছিল।
ফুজিতা বলেন, আমরা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে পারস্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক অনেক গভীর হয়েছে। আগামীকাল আমরা সেই বিশ্বাসের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেবো।
এদিকে তাকাইচি এই মাসের শুরুতে এলডিপির নেতৃত্ব নির্বাচনে জিতে প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার উত্তরসূরি হিসেবে প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন। তবে কোমেইতো দলের জোট ত্যাগের পর নতুন করে রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হয়, যার পরিণতিতে এই নতুন জোট চুক্তি।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম