ঝিনাইদহের মহেশপুরে জামায়াতে ইসলামীর নারী কর্মীদের ওপর বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা জামায়াত।
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা জামায়াত আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নারী কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করেন জামায়াত নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল হাই, উপজেলা জামায়াতের আমির ফারুক আহমেদ, পৌর জামায়াতের আমির পলাশ আহমেদ।
লিখিত বক্তব্যে জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে মহেশপুর উপজেলার যাদবপুর ইউনিয়নের উত্তর পাড়ায় দলটির নারী কর্মীরা গণসংযোগে বের হন। এসময় স্থানীয় বিএনপি নেতা আশরাফুল, হানিফ, শাহিন ও সবুজের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল লাঠিসোঁটা নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। এতে পাঁচ নারীসহ আটজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বোরকা খুলে নিয়ে লাঞ্ছিত করা হয় বলেও লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়। বর্তমানে আহতরা মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নেতাকর্মীরা। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারিও দেন জামায়াত নেতারা।
উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক ফারুক আহম্মদ বলেন, ‘ভোট চাইতে গেলে বিএনপির কর্মীরা আমাদের নারী কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘জামায়াতের নারী কর্মীরা বিএনপি পরিবারে গিয়ে বেহেশতে যাওয়ার জন্য দাঁড়িপাল্লায় ভোট চান। এতে তাদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। মারামারি বা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি এতটুকুই জানি।’
ওই ঘটনায় জামায়াত নেতারা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানালে তিনি বলেন, ‘জামায়াতের লোকজন অভিযোগ করতেই পারেন। দেশে আইন আছে, আইন অনুযায়ীই সব হবে। আমাদের এ বিষয়ে কিছু বলার নেই।’
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শাহজাহান নবীন/এসআর/জিকেএস