পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুজনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’
হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, রোববার বিকেল ৪টা ৩৯ মিনিটে বংশালের নূরবক্স রোডের মকথা এলাকায় কালো টি-শার্ট ও কালো ব্যাগ পিঠে দুই যুবক দৌড়ে বংশাল রোডের দিকে যাচ্ছেন। পুলিশের ধারণা, এরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত হতে পারে।
আরও পড়ুন
জুবায়েদ হত্যার বিচার দাবিতে তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ শিক্ষার্থীদের
এর আগে রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর বংশাল এলাকার নূরবক্স রোডের একটি ভবনে টিউশনির জন্য গেলে বাসার নিচেই ছুরিকাঘাতের হত্যার শিকার হন জুবায়েদ। আহত অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার চেষ্টা করলে তিনি তিনতলায় পড়ে যান এবং সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে রাত ১০টার দিকে তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ও রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতীবাজার মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাত ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিল শেষে সমাবেশ থেকে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতারা।
আরও পড়ুন
জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ খুন, বিচার দাবিতে ঢাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
রোববার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকায় টিউশনিতে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে জবি ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেন খুন হন। তিনি জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
জুবায়েদ হোসেন জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদেরও তিনি সভাপতি ছিলেন।
টিএইচকিউ/এমকেআর