জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বিওজে) চলতি বছরে তৃতীয়বারের মতো সুদের হার বাড়িয়েছে। এই দফায় ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে নীতিগত সুদের হার ০.৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি গত ১৭ বছরের মধ্যে জাপানে সর্বোচ্চ সুদের হার।
২০০৮ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের আগে শেষবার জাপানে ০.৫ শতাংশ সুদের হার কার্যকর ছিল। বিওজে গত বছরের মার্চ মাসে নেতিবাচক হার থেকে ইতিবাচক ০.১ শতাংশে উন্নীত করার মাধ্যমে নীতিগত স্বাভাবিকায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল। জুলাই মাসে তা বাড়িয়ে ০.২৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়।
জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই পদক্ষেপের লক্ষ্য, দেশীয় অর্থনীতিকে সমর্থন দেওয়ার পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে ইয়েনের অবমূল্যায়ন রোধ করা।
আরও পড়ুন>>
গত দুই সপ্তাহ ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের মন্তব্যের মাধ্যমে জানুয়ারিতে সুদের হার বৃদ্ধির সম্ভাবনা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ইয়েনের মান ডলারের বিপরীতে আরও ব্যাপকভাবে কমে যেতো।
বিওজে তাদের আউটলুক রিপোর্টে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। ২০২৫ অর্থবছরের জন্য মূল মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ২০২৬ অর্থবছরের জন্য ২ শতাংশ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
চীনের অর্থনৈতিক মন্দা এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে নতুন চ্যালেঞ্জের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও বিওজে গভর্নর কাজুও উয়েদা সুদের হার আরও বাড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক। গত ডিসেম্বরে জাপানের মূল্যস্ফীতি বার্ষিক ৩ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত ১৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিকে বড় প্রতিষ্ঠান ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলো মজুরি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনায় বসেছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই বছর মজুরি বৃদ্ধির হার কমে আসতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিওজের এই পদক্ষেপ অর্থনীতিকে সমর্থন দিলেও ভবিষ্যতে আরও কঠোর নীতিমালা গ্রহণের জন্য সাবধান হতে হবে।
সূত্র: নিক্কেই এশিয়া
কেএএ/