জাবিতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেন সন্তানসহ শিক্ষক

10 hours ago 6

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্ঘটনার জেরে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল বন্ধ থাকলেও বেপরোয়া গতিতে চলছে প্রাইভেটকার। এমন বেপরোয়া গতিতে ড্রাইভিংয়ের ফলে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন শিশুসহ দুইজন।

রোববার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টায় টারজান পয়েন্টে ছোট মেয়েসহ সাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আমিনা মমি। এমতাবস্থায় বেপরোয়াভাবে আসা একটি গাড়ি শিশুটির সাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে গাড়ির সামনের চাকার নিচে পড়ে সাইকেলটি। মেয়েকে দ্রুত সরিয়ে নেন ওই শিক্ষিকা। পরবর্তীতে রাস্তায় থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীরা গাড়িটি আটকান এবং প্রক্টর বরাবর অভিযোগ জানান। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক গ্রুপগুলোতে ওঠে সমালোচনার ঝড়।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্লাবের আমন্ত্রণে এসেছিল গাড়িটি।

ভুক্তভোগী বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা আমিনা মমি বলেন, মেয়েসহ রাস্তার পাশে সাইকেল নিয়ে হাঁটছিলাম। এমতাবস্থায় বেপরোয়াভাবে গাড়িটি সাইকেলে ধাক্কা দেয়। আমি যদি মেয়েকে টেনে না নিতাম তাহলে বড় ধরনের কিছু ঘটে যেতে পারতো।

গাড়ির মালিক ইকবাল করিম জানান, গাড়িটি পার্ক করার সময়ই মূলত সাইকেলটিতে লেগে যায়। প্রক্টর ঘটনাস্থলে আসার পর বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, গাড়িটি উল্টোপাশে চলায় রাস্তায় যে বাচ্চাটি সাইকেল চালাচ্ছিল, হতে পারে ড্রাইভার সেটা খেয়াল করেনি কিংবা ব্লাইন্ড স্পটে চলে গিয়েছিল। তাই এই দুর্ঘটনা ঘটে। গাড়ির মালিক ভুল করেছে বলে জানিয়েছেন। এছাড়া ড্রাইভার সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এবং সাইকেলের ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ হাজার টাকা প্রদান করেছেন।

সৈকত ইসলাম/এফএ/জিকেএস

Read Entire Article