জাবিতে চলছে রাজা-রানি উৎসব

বিশ্ববিদ্যালয় মানে উচ্চশিক্ষার স্থান হলেও এটি শুধু পড়াশোনার জায়গা নয়, বরং মুক্ত চিন্তা, সৃজনশীলতা ও জীবনকে উপলব্ধি করার এক ভিন্ন জগৎ। নবীনদের পদচারণায় একদিকে যেমন ক্যাম্পাস মুখর হয়, তেমনি প্রবীণদের বিদায়ে ক্যাম্পাস হয় নিস্তব্ধ। প্রবীণদের সেই বিদায়লগ্নকে স্মরণীয় করতে ‘রাজা-রানি নির্বাচন’ আয়োজন করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের স্মরণীয় দিনের অন্যতম হলো র‍্যাগ-ডে বা বিদায় অনুষ্ঠান, জাবিতে যার ভিন্ন নাম ‘শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান’। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সংস্কৃতির মাধ্যমে যেমন নবীনদের বরণ করে নেওয়া হয় তেমনি বিদায় সম্পন্ন হয় সংস্কৃতির মধ্যে দিয়েই। বিদায়ী ব্যাচের মধ্যে থেকে র‍্যাগ-ডে পালন করতে একজন ছেলে ও মেয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। যাদেরকে সেই ব্যাচের ‘রাজা-রানি’ সম্বোধন করা হয়। ৩ দিনব্যাপী চলমান জাবিতে বিদায়ী ব্যাচের আয়োজিত র‍্যাগ-ডের অন্যতম আকর্ষণ এই রাজা-রানী নির্বাচন। জাবির সপ্তম ব্যাচ থেকে আয়োজিত রাজা-রানী নির্বাচন প্রথমে বিদায়ী ব্যাচের সবাই চেনে, জনপ্রিয় বা চোখে পড়ে এমন কাউকে মৌখিক বা সিলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হতো। প

জাবিতে চলছে রাজা-রানি উৎসব

বিশ্ববিদ্যালয় মানে উচ্চশিক্ষার স্থান হলেও এটি শুধু পড়াশোনার জায়গা নয়, বরং মুক্ত চিন্তা, সৃজনশীলতা ও জীবনকে উপলব্ধি করার এক ভিন্ন জগৎ। নবীনদের পদচারণায় একদিকে যেমন ক্যাম্পাস মুখর হয়, তেমনি প্রবীণদের বিদায়ে ক্যাম্পাস হয় নিস্তব্ধ। প্রবীণদের সেই বিদায়লগ্নকে স্মরণীয় করতে ‘রাজা-রানি নির্বাচন’ আয়োজন করা হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি)।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রজীবনের স্মরণীয় দিনের অন্যতম হলো র‍্যাগ-ডে বা বিদায় অনুষ্ঠান, জাবিতে যার ভিন্ন নাম ‘শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান’।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সংস্কৃতির মাধ্যমে যেমন নবীনদের বরণ করে নেওয়া হয় তেমনি বিদায় সম্পন্ন হয় সংস্কৃতির মধ্যে দিয়েই। বিদায়ী ব্যাচের মধ্যে থেকে র‍্যাগ-ডে পালন করতে একজন ছেলে ও মেয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়। যাদেরকে সেই ব্যাচের ‘রাজা-রানি’ সম্বোধন করা হয়। ৩ দিনব্যাপী চলমান জাবিতে বিদায়ী ব্যাচের আয়োজিত র‍্যাগ-ডের অন্যতম আকর্ষণ এই রাজা-রানী নির্বাচন।

জাবির সপ্তম ব্যাচ থেকে আয়োজিত রাজা-রানী নির্বাচন প্রথমে বিদায়ী ব্যাচের সবাই চেনে, জনপ্রিয় বা চোখে পড়ে এমন কাউকে মৌখিক বা সিলেকশনের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হতো। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭তম ব্যাচ থেকে ভোটের মাধ্যমে রাজা-রানী নির্বাচন শুরু হয়। সে ব্যাচের রাজা ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের আহমেদ শরীফ সানি এবং রানি ছিলেন আইবিএ’র তানি।

নির্বাচনের আগে কয়েকদিন ধরে চলে নির্বাচনী প্রচার-পোস্টারিং। আবাসিক হল, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, বিভিন্ন অনুষদের ভবন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছবিসহ পোস্টারিংয়ের মাধ্যমে উৎসবমুখর থাকে ক্যাম্পাস।

সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় ব্যাপার হলো রাজা-রানি প্রার্থীদের বর্ণাঢ্য রিকশা শোভাযাত্রা। যখন বিদায়ী ব্যাচের সবাই রাজা-রাণীকে রিকশায় নিয়ে হৈ-হুল্লোড়ের সঙ্গে ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়ায়।

নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে সর্বশেষ ৪৪ ব্যাচের রাজা নিক্সন খান জানান, ভার্সিটি শেষ সময়টা স্মৃতিময় করে রাখতেই মূলত এই আয়োজন। ৪ থেকে ৫ বছর যে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলাম, তাদের সবার সঙ্গে বিদায়ের আগে সেই পুরোনো দিনে ফিরে যাওয়া ছিল শিক্ষা সমাপনী। জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময়গুলো উপহার দেওয়ার জন্য জাবির কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।

মো. রকিব হাসান প্রান্ত/এনএইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow