একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের করা আবেদন শুনানি আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি দ্রুত করতে আপিল বিভাগে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আছাদুজ্জামান এবং চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
এদিন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আপিল বিভাগকে বলেন, এই রিভিউ শুনানিটি বৃহস্পতিবার ৯ নম্বর আইটেমে ছিল কিন্তু সেদিন শুনানি হয়নি। এটি নিয়ে দেশে সমস্যা তৈরি হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এটি একটি পলিটিক্যাল সেন্সিটিভ মামলা সেজন্য দ্রুত নিষ্পত্তি করা হোক। পরে আপিল বিভাগ মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি পিছিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৪ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বেঞ্চে এক বিচারপতি না থাকায় আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে ১ হাজার ২৫৬ ব্যক্তিকে গণহত্যা-হত্যা, ১৭ জনকে অপহরণ, একজনকে ধর্ষণ, ১৩ জনকে আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং শত শত বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয় এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগের মধ্যে ১ নম্বর বাদে বাকি পাঁচটি অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এটি প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করে আসছে জামায়াতে ইসলামী।
এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহারুল। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ রায় দেন। ২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগে আবেদন করেন তিনি। এই পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেছিলেন। এটিএম আজহারুল ইসলাম বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন।