জামায়াত নেতার হত্যাকারীদের বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি রাখেনি বিএনপি

2 months ago 11

জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, ‘জামায়াত নেতা কাউছার আহম্মদ মিলন হত্যা মামলাটি রাজনৈতিক নয়। সামাজিক একটি ঘটনায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের উভয়ের (বিএনপি-জামায়াত) কথা হয়েছিল হত্যাকারী যেই হোক তাকে বহিষ্কার করা হবে। কিন্তু বিএনপি সেই প্রতিশ্রুতি রাখেনি।’

মঙ্গলবার (১০ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবে জেলা জামায়াতের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রেজাউল করিম বলেন, ‘বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে কাউছার এর আগে স্ট্রোক করেছেন, অতএব এটি স্বাভাবিক মৃত্যু। এসব কথায় জাতি বিভ্রান্ত। ছেলেকে রক্ষা করতে গেলে তাকে আঘাত করা হয়েছে। আবার তিনি চিকিৎসা নিতে গেলে হাসপাতালে তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। এখন তার পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে।’

হত্যা নিয়ে রাজনীতিকরণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকরণ শুরু করেছে- সন্ত্রাসীরা তাকে আহত করেছে এবং তিনি মারা গেছেন। কিন্তু মামলার আসামিরা রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী। হামলার ঘটনার পর তারা বিরাট একটি মিছিল করেছে, সোশাল মিডিয়ায় তা আসছে। তাহলে রাজনীতিকরণের সূচনাটি কারা করলো? হত্যাকাণ্ডের পর ময়নাতদন্ত হয়, রিপোর্ট আসবে। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই কেউ কেউ বিভ্রান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে। এ জন্য আমরা শঙ্কিত কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার নিয়ে। প্রকৃত হত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট আসবে বলে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করি।’

জামায়াত নেতার হত্যাকারীদের বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি রাখেনি বিএনপি

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির এআর হাফিজ উল্যাহ, সেক্রেটারি ফারুক হোসাইন নুরনবী, সহ-সেক্রেটারি মহসিন কবির মুরাদ, লক্ষ্মীপুর শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান ও চন্দ্রগঞ্জ থানা জামায়াতের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম সুমন খান প্রমুখ।

থানা পুলিশ ও জামায়াত জানায়, জামায়াতের ওলামা বিভাগের নেতা কাউছারের মৃত্যুর ঘটনায় ৩২ জনের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় তার স্ত্রী শিল্পি আক্তার রোববার (৮ জুন) মামলা করেছেন। এতে এজাহারভুক্তরা বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কাউছার বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুরে হামলার শিকার হয়ে সন্ধ্যায় মারা যান। তিনি বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের ওলামা বিভাগের সভাপতি ছিলেন।

কাজল কায়েস/আরএইচ/এমএস

Read Entire Article