হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা মহিলা জামায়াতের সভানেত্রী মিনারা বেগমকে (৩৮) হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে জড়িতদের আটক করতে তাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে।
নিহত নারীনেত্রী উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আব্দুল আহাদ ইবনে আব্দুল মালেকের স্ত্রী। তিনি মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল ৪টায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় জামায়াত ও বিএনপির নেতারা ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায় মহাসড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। আগামী সোমবার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন। বিকেল ৫টায় নিহতের জন্মস্থান উপজেলার ফদ্রখলা গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
বাহুবল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, এখনো কোনো অভিযোগ পায়নি। তবু আমাদের কয়েকটি টিম কাজ করছে। অভিযোগ পেলে দ্রুত কিছু করা সম্ভব।
বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের পুলিশ আসামি গ্রেপ্তার করতে পারছে না। এসপির বক্তব্য আমাদের হতাশ করেছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে জানাজার নামাজ থেকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পশ্চিম জয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে শ্বাসরোধে হত্যার পর পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তার সাত মাসের শিশুসন্তান খাটের নিচে পড়ে ছিল।