বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান জাতীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই ঐতিহাসিক ঘটনার প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছি। সাত দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমেই এ গণঅভ্যুত্থানের সফলতা অর্জন সম্ভব।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘জাতীয় সমাবেশ’ বাস্তবায়ন কমিটির এক বিশেষ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে আগামী ১৯ জুলাই দুপুর ২টায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য এ সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করা হয়।
- আরও পড়ুন
- নির্বাচনে বিএনপি ৩৯%, জামায়াত ২১%, এনসিপি ১৬% ভোট পাবে: জরিপ
- জাতীয় নির্বাচন পেছানো নয়, সুষ্ঠু পরিবেশ চায় জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
জামায়াত আমির বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার রক্ত-ঘামে রচিত আন্দোলন ছিল গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের সংগ্রাম। সেই জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের পথ হলো জামায়াতের সাত দফা। তাই এই সমাবেশ কেবল একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি জাতীয় দায়িত্ব।
তিনি সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর প্রতি সমাবেশে সর্বাত্মক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম ও অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মো. সেলিম উদ্দিন, মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, মালয়েশিয়াভিত্তিক ইসলামিক দাওয়াহ সার্কেলের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল্লাহ মানসুর, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ও ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
এএএম/বিএ/এএসএম