রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও সিনেট সদস্য পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক ফাহিম রেজা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফাহিম রেজা বলেন, রাকসু শুধু একটি ছাত্র সংসদ নয়, এটি আমাদের সকল শিক্ষার্থীর অধিকার, স্বপ্ন এবং সংগ্রামের প্রতীক। দীর্ঘদিন পর রাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে, এটি আমাদের প্রজন্মের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, তখন থেকেই দেখেছি শিক্ষার্থীরা নানা সমস্যার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। আবাসন সংকট, চিকিৎসা অবহেলা, অ্যাকাডেমিক জটিলতা, গবেষণার সুযোগের ঘাটতি, লাইব্রেরি ও ল্যাবের সীমাবদ্ধতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং অনেক সময় বৈষম্যের শিকার হওয়া। এসব সমস্যা সমাধানে একটি শক্তিশালী ও সক্রিয় রাকসুর বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে ছাত্র সংসদ কার্যকর না করে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের পেশিশক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল। সিট দখল, সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, শিক্ষার্থী নির্যাতন, ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করা, ভিন্নমত দমন এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছনার মতো ঘটনাই ছিল নিত্যদিনের বাস্তবতা। ২০২৪ পরবর্তী সময়েও কিছু সংগঠন ও ব্যক্তি সেই একই পথে হাঁটার চেষ্টা করছে।
নিজের অঙ্গীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সমস্যা সমাধানে তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন। দীর্ঘদিনের আবাসন সংকট নিরসনে ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের জন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন। পাশাপাশি গবেষণা ও উচ্চশিক্ষায় সুযোগ বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করবেন।
তিনি আরও জানান, শিক্ষার্থীদের মানসম্মত জ্ঞানচর্চা নিশ্চিত করতে লাইব্রেরি, ল্যাব ও অন্যান্য শিক্ষা সুবিধা আধুনিকায়নের জন্য কাজ করবেন। এ ছাড়া সকল শিক্ষার্থীর জন্য একটি নিরাপদ, বৈষম্যহীন এবং গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস গড়ে তোলাই তার অন্যতম লক্ষ্য।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিনেটকে সক্রিয় করার প্রতিশ্রুতিও দেন ফাহিম রেজা। আবাসন, খাদ্যে ভর্তুকি, গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সিনেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতে চান তিনি।
মনির হোসেন মাহিন/এমএন/জেআইএম