জিয়া খাল নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

1 month ago 19

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের পুনঃখননকৃত জিয়া খালের দখলকে কেন্দ্র করে বাঁশিলা ও হালতির দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় পাহারা দেওয়ার ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (০৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হালতি বিলের হালতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

আহতরা হলেন উপজেলার বাঁশিলা গ্রামের ইসমাইলের ছেলে এন্তাজ আলী, শামসুলের ছেলে রাজ্জাগ আলী ও একই গ্রামের আজিজের ছেলে হাবিবুর রহমান। এ ছাড়া হালতি গ্রামের ফলেনের ছেলে সেলিম, রশিদের দুই ছেলে রাশেদ-উজ্জ্বল ও তার বোন রুপালি আহত হন।

নলডাঙ্গা থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নলডাঙ্গা উপজেলার বাঁশিলা ও হালতি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বরেন্দ্র বহুমুখী প্রকল্পের পুনঃখননকৃত জিয়া খাল উন্মুক্ত জলাশয় হিসেবে স্থানীয় মৎস্যজীবী ও এলাকাবাসী ভোগ করে আসছিল। গত ৫ আগস্ট পট-পরিবর্তনের পরে বাঁশিলা গ্রামবাসী হালতি বিলের বাঁশিলা মোর্জার অংশ বাঁশিলা গ্রামবাসী ও মৎস্যজীবীরা মাছ শিকারের জন্য দখলে নেয়। হালতি গ্রামের অংশে হালতি গ্রামবাসী দখল নেয়। 

একপর্যায়ে হালতি বিলের জিয়া খালে মাছ শিকারের জন্য দখলকে কেন্দ্র করে রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে হালতির বিএনপির কর্মী ফলেন গ্রুপ ও বাঁশিলা গ্রামের মৎস্যজীবীর পক্ষে নলডাঙ্গা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়া গ্রুপের দুপক্ষের কথাকাটাকাটি হয়। পরে বাঁশিলা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খালটি পুরোপুরি দখল নিতে যায়। এতে বাধা দেয় হালতি গ্রামের লোকজন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় খালের ধারে থাকা নিরাপত্তা কক্ষ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় হামলাকারীরা। এতে নারীসহ উভয়পক্ষের আন্তত ছয়জন গুরুতর আহত হন।

নলডাঙ্গা থানার তদন্ত ওসি মনোয়ার জাহান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। এ ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

Read Entire Article