জুবিনের শেষকৃত্য সম্পন্ন

1 hour ago 2

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গর্গকে বিদায় জানাল গোটা দেশ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) অশ্রুসিক্ত পরিবেশে সম্পন্ন হলো তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। প্রিয় গায়কের মৃতদেহের পাশে বসে কান্নায় ভেঙে পড়লেন স্ত্রী গরিমা। অগণিত ভক্তের উপস্থিতিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এদিকে স্ত্রী গরিমার দেওয়া জুবিনের প্রতি শেষ উপহার মুহূর্তেই ভিজিয়ে দিল সবার চোখ।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘আমি যখন মারা যাব, তখন আসামের উচিত এই গানটি গাওয়া।’ ২০০১ সালে ‘মায়াবিনী’ গান নিয়ে এ কথা বলেছিলেন জুবিন। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আসামের ‘প্রিয় রকস্টার’-কে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটের মাধ্যমে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেসময় তার লাখ লাখ ভক্তের মুখে শোনা গিয়েছে ‘মায়াবিনী’র সেই লাইন। যে গান সমস্ত অ্যালবামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পছন্দ ছিল জুবিনের।

গুয়াহাটির কাছে অসমের কামরূপ জেলার কামারকুচি এনসি গ্রামে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। গায়কের শ্মশানযাত্রা শুরু হবে অর্জুন ভোগেশ্বর বড়ুয়া স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে। যেখানে তার দেহ জনসাধারণের জন্য রাখা হয়েছিল। 
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জুবিনের স্ত্রী গরিমা সুপারি দিয়ে পান সাজছেন জুবিনের জন্য। গায়ক নাকি পান খেতে ভীষণই পছন্দ করতেন। তাই তার শেষযাত্রায় পানের ব্যবস্থা করেছেন গরিমা। যা দেখে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না অনুরাগীরা।

জানা যায়, চন্দনকাঠ দিয়ে তৈরি হয় মহান এই সংগীতশিল্পীর অন্তিম শয্যা। আর নিঃসন্তান এই গায়কের মুখাগ্নি করেছেন তার বোন ছোট বোন পামী বড়ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন জুবিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী অরুণ এবং কবি-গীতিকার রাহুল।

উল্লেখ্য, গায়কের মরদেহের নতুন করে ময়নাতদন্ত করতে হবে বলে সোমবার নির্দেশ দিয়েছে অসম সরকার। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট জানিয়েছিল, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে গায়কের। তার পরেও থেকে গিয়েছিল বেশ কিছু ধোঁয়াশা। তাই মঙ্গলবার ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আসাম সরকার।

Read Entire Article