জুলাই ঘোষণাপত্রকে একটি ‘অপূর্ণাঙ্গ বিবৃতি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জামায়াতে ইসলামী দাবি করেছে, এই ঘোষণাপত্র গণমানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের ফসল এই ঘোষণাপত্র হলেও এর মধ্যে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষা করা হয়েছে, যা মানুষের মনে হতাশার জন্ম দিয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ তাহের।
এ সময় তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হলেও ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এছাড়া, এতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, এবং ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ নেই।এছাড়া এতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলেম-ওলামা, মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্র, প্রবাসী এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কোনো উল্লেখ নেই, যা ইতিহাসের প্রতি অবিচার। তিনি উল্লেখ করেন যে, অভ্যুত্থানের মূল টার্নিং পয়েন্ট ছিল ৯ দফা, যা পরে এক দফায় পরিণত হয়েছিল—সেই বিষয়টিও ঘোষণাপত্রে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
সৈয়দ আব্দুল্লাহ তাহের জানান, গণঅভ্যুত্থানের প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল রাষ্ট্র সংস্কার। এর জন্য ৬টি কমিশন গঠন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ১৯টি বিষয়ে ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক পঠিত ঘোষণাপত্রে তার কোনো উল্লেখ নেই।
ঘোষণাপত্রকে ‘গুরুত্বহীন’ করা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কখন ও কীভাবে এগুলো কার্যকর করা হবে, তা উল্লেখ করা হয়নি। পরবর্তী সরকারের হাতে বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়ায় হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ ও রক্ত দিয়ে অর্জিত জুলাই আন্দোলনের চেতনা ও আশা-আকাঙ্ক্ষা ভুলুণ্ঠিত হয়েছে।
আরএএস/কেএচইকে/জেআইএম