অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্রে জনগণের প্রত্যাশার অপরিহার্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এই ঘোষণাপত্রে দেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকালে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, ঘোষণাপত্রে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের কথা বলা হলেও ১৯৪৭ সালের স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বরের হত্যাকাণ্ড এবং ২৮ অক্টোবরের হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্রে জনআকাঙ্ক্ষার অপরিহার্য বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে অতীতের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে অবিলম্বে জুলাই সনদ বর্তমান সরকারকেই বাস্তবায়ন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো সংস্কার এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করে জুলাই সনদের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানান তিনি ।
নজরুল ইসলাম জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, শহীদ আবু সাঈদের রক্তদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন যাত্রা শুরু হয়েছিল। তার শাহাদাত হাজারও মানুষকে নিপীড়নের বিরুদ্ধে সাহস ও প্রেরণা জুগিয়েছিল।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর শাহাদাতকে বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনায় তাকে হত্যা করে ফ্যাসিস্ট সরকার জনমত দমন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার আত্মত্যাগ জনগণকে জাগিয়ে তোলে এবং গণ-আন্দোলনের জন্ম দেয়, যা মাত্র এক বছরের মধ্যে স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটায়।
জামায়াতের এ নেতা অভিযোগ করে বলেন, জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের পরিকল্পিতভাবে বিচারিক হত্যার শিকার করা হয়েছে। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, আবদুল কাদের মোল্লা এবং সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে, যা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও পক্ষপাতদুষ্ট।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য চট্টগ্রাম মহানগরীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, মহানগর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমানসহ প্রমুখ।
কেএইচকে/কেএসআর/জিকেএস