প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়ের পর এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রাষ্ট্র সংস্কার। আর আমরা তা যথাযথভাবে করছি। তবে আমরা এটাও দেখছি, এমন এমন কাজ হচ্ছে যার কারণে মানুষ ভাবছে, আমাদের বিপ্লবটা বোধ হয় ব্যাহত হয়ে যাচ্ছে। বিপ্লব ব্যাহত হচ্ছে না বরং জুলাই বিপ্লব যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে হয়েছে তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ও গণমাধ্যম’ শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ইবি সাংবাদিক সমিতি (ইবিসাস) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে প্রেস সচিব বলেন, জন আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন আপনারা খুব শর্টটার্মে দেখছেন। এজন্য অনেকে চিন্তিত হয়ে যাচ্ছেন। তাদের বলব, পূর্বের ইন্টেরিম সরকার ও অন্যান্য সময়ের সঙ্গে তুলনা করে দেখেন, আমরা অভূতপূর্ব কাজ করেছি কিনা? একটা ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে মাত্র ৫ মাসে এই সরকার স্থিতিশীলতায় নিয়ে এসেছে। অপরাধপ্রবণতা, রাজনৈতিক সহিংসতা কমে আসছে। কয়েকটা জায়গায় যদিও ব্যত্যয় ঘটছে কিন্তু এসব ঘটনায় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
শফিকুল আলম বলেন, আপনারা ভাবছেন ধীর গতিতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে। অথচ দেশে ইকোনমিক রিকোভারি হয়েছে। আগস্টের পরে অর্থনৈতিক গতি বেড়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে তার বাবার হত্যাকারীদের খুঁজে খুঁজে দেশে এনে শাস্তি দিয়েছে। এই অন্তর্বর্তী সরকার আইনি প্রক্রিয়ায় শেখ হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করবে। এজন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যত চাপ প্রয়োগ করা যায় অন্তর্বর্তী সরকার তা করছে।
প্রেস সচিব বলেন, শেখ হাসিনার যত অপকর্ম তা তুলে ধরতে ৪০০ পাতার এক শ্বেতপত্র প্রস্তুত করেছে এই সরকার। আপনারা এটি পড়লে বুঝতে পারবেন, তারা কীভাবে আমার আপনার টাকা পাচার করে একটি চোরতন্ত্র কায়েম করেছিল। এটা নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার হওয়া উচিত।
ইবি সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজমুল হক জায়িমের সঞ্চালনায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাংগীর আলম এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. হোসাইন আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইবি সাংবাদিক সমিতির সাবেক সহসভাপতি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর বিশেষ সংবাদদাতা ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ে কর্মরত এস এম রাশিদুল ইসলাম।